দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় জাতীয় ঈদগাহে দোয়া
দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত শেষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামাত শেষে মোনাজাতে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনা করা হয়। এছাড়া মোনাজাতে সবার জন্য গুনাহ মাফ চাওয়া, মৃত ব্যক্তিদের কবরের আজাব মাফ চাওয়া এবং যেকোনো বিপদ থেকে দেশকে হেফাজতের জন্য প্রার্থনা করা হয়।
শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে আটটায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিন ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন। ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে ৩৫ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। পরে মুসল্লিরা পরস্পর কোলাকুলি করে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এর আগে মোনাজাতে মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন বলেন, বাংলাদেশ শান্তি সম্প্রীতির দেশ। এদেশে সব ধর্মের মানুষ সম্প্রীতি নিয়ে বসবাস করে। এ শান্তি-সম্প্রীতি যেন নষ্ট না হয়। তিনি আরও বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে এ দেশ পেয়েছি আমরা, আল্লাহ। এ দেশকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র থেকে হেফাজত করুন। পৃথিবী থেকে যুদ্ধ যাতে চলে যায়। সব বিপদ-মুসিবত থেকে আমাদের রক্ষা করুন।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে আটটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু সকাল সাড়ে ছয়টার পর থেকেই ঈদগাহ মাঠে উপস্থিত হতে থাকেন মুসল্লিরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঠে মুসল্লিদের ভিড় বাড়ে। সকাল আটটায় ঈদগাহ মাঠে রমজান এবং ঈদ জামাতের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা শুরু করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিন।
সকাল সাড়ে আটটার আগেই ঈদগাহ মাঠ মুসল্লিদের পদচারণায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। পরে কদম ফোয়ারার সামনের রাস্তায় নামাজে দাঁড়ান হাজারো মুসল্লি। মুসল্লিদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শুরু থেকেই তৎপর ছিল। মৎস্য ভবন, জাতীয় প্রেসক্লাব, শিক্ষা ভবনে ছিল বিশেষ নিরাপত্তা ফটক। এর ভেতর কেউ গাড়ি নিয়ে ঢুকতে পারেননি।
জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের প্রধান জামাতের আয়োজন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের জানান, এবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের ভেতর একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে নারী মুসল্লিদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা ছিল। ঈদ জামাতে মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।