আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

হ্যাটট্রিক টস জিতেও সিরিজে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

করোনা যুগে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বাংলাদেশ থেকে ট্রফি নিয়ে ফিরতে পারেনি কোনো দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড সবাই পরাজিত সৈনিক। তবে মিরপুর জয় করেছে পাকিস্তান। এক ম্যাচ হাত রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নেয়। শেষ ম্যাচটি ছিল হোয়াইটওয়াশ থেকে বাঁচার। তাও হলো না। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলো ৩-০ তে। এতে করে টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে নয় নম্বরে নেমে বাংলাদেশ। 

সোমবার (২২ নভেম্বর) মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি শুরু হয় দুপুর ২টায়।

তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয় পেলেও ঘাম ঝরাতে হয়েছে পাকিস্তানকে। বিশেষ করে শেষ ওভারে। শেষ ৬ বলে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৮ রানের। মাহমুদউল্লাহ নিজের হাতে বল তুলে নিয়েই চমক দেখান। প্রথম বল থেকে রান নিতে ব্যর্থ হন সরফরাজ। দ্বিতীয় বলে মিডউইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মোহাম্মদ নাইমের ক্যাচে পরিণত হন। তৃতীয় বলে পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা হায়দার আলীকে শান্তর ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মাহমুদউল্লাহ। 

হ্যাটট্রিক বলে ছয় মারেন ইফতিখার আহমেদ। পাকিস্তানের জয় পেতে দুই বল থেকে প্রয়োজন হয় ২ রানের। পঞ্চম বলে মাহমুদউল্লাহকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে মারতে গিয়ে ইয়াসির আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইফতিখার। শেষ বলে দুই রানের প্রয়োজন হয় পাকিস্তানের। স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা মোহাম্মদ নওয়াজ এক্সট্রা কভারের দিয়ে চার মারলে ম্যাচে ৫ উইকেটে জয় পায় পাকিস্তান।

শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ব্যাট হাতে আবারো ব্যর্থ হন বাবর আজম। আজ করেন ২৯ রান। দলীয় ৩২ রানে তাকে ফেরান আমিনুল ইসলাম। রিজওয়ান দ্বিতীয় উইকেটে হায়দার আলীকে নিয়ে গড়েন ৫১ রানের জুটি। দলীয় ৮৩ রানে ৪৩ বলে ২ চার এক ছয়ে ৪০ রান করে শহীদুল ইসলামের বল ভেতরের দিকে টেনে বোল্ড হন রিজওয়ান। দলীয় ১১৭ রানে পরপর দুই বলে সরফরাজ আহমেদ ও হায়দার আলীকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন মাহমুদউল্লাহ। 

এর আগে সিরিজে তৃতীয়বারের মতো টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। দলীয় ৭ রানে শান্ত, ৩৭ রানে শামীম হাসান ফেরত গেলে তৃতীয় উইকেটে নাইম ও আফিফ গড়েন ৪৩ রানের জুটি। দলীয় ১১১ রানে মোহাম্মদ নাইম, ১১৬ রানের সোহান ও মাহমুদউল্লাহ এবং ১২৪ রানের ফেরেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ব্যাট হাতে ৫০ বলে ২ চার ও সমান ছয়ে ৪৭ রান করেন মোহাম্মদ নাইম। 

পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ ওয়াসিম ও উসমান কাদির ২টি করে এবং শাহনেওয়াজ ধানি ও হারিস রউফ একটি করে উইকেট লাভ করেন। ৪৫ রান করা পাকিস্তানের হায়দার আলী প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ ও পুরো সিরিজে ৯০ রান করে মোহাম্মদ রিজওয়ান প্লেয়ার অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন। 

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন