আর্কাইভ থেকে এশিয়া

বিবাহবিচ্ছেদে ৬ মাসের বাধ্যতামূলক সময়সীমা অবসানের ইঙ্গিত

ভারতে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করলে ছয় মাস অপেক্ষা করতে হতো আবেদনকারীকে। এবার ‘বাধ্যতামূলক’ সেই সময়সীমা কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। বিশেষ পরিস্থিতিতে সংবিধানের ১৪২ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে বিবাহবিচ্ছেদে দ্রুত রায় দিতে পারবে ভারতীয় আদালত। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানিয়েছে এনডিটিভি।

সোমবার (১ মে) দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এমন তথ্য দিয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, পারস্পরিক সম্মতির মাধ্যমে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য ছয় মাসের বাধ্যতামূলক অপেক্ষার মেয়াদ বাতিল করা যেতে পারে।

বিশেষ পরিস্থিতির ব্যাখ্যায় সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কউল, সঞ্জীব খন্না, এএস ওকা, বিক্রম নাথ ও জেকে মাহেশ্বরীর পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানায়, কোনো ভেঙে যাওয়া বৈবাহিক সম্পর্ক যদি আর কোনোভাবেই মেরামত করা সম্ভব না হয়। তবে এই বিশেষ অধিকার প্রয়োগ করবে আদালত।

আদালত এই বিশেষ অবস্থাকে এক কথায় বলছে, পুনরুদ্ধারের অসাধ্য বৈবাহিক সম্পর্ক’। বিবাহবিচ্ছেদের পর সন্তানের দায়িত্ব কে নেবেন, সম্পত্তির ভাগ কে পাবেন, এসব কিছু খতিয়ে দেখে আদালতই ঠিক করবে বিবাহবিচ্ছেদের আর্জিটির দ্রুত মীমাংসা হওয়া প্রয়োজন কিনা।

উল্লেখ্য, এতো কাল অবধি হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩বি ধারা অনুসারে কোনো ব্যক্তি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করলে তা মঞ্জুর হতে ছয় মাস সময় লাগত। পারস্পরিক সহমতের ভিত্তিতে বিবাহবিচ্ছেদ চাওয়া হলেও বাধ্যতামূলকভাবে ওই সময়সীমা মেনে চলতে হতো। সংবিধানের ১৪২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো বিচারাধীন বিষয়ের ‘সম্পূর্ণ আইনি নিষ্পত্তি’র জন্য সুপ্রিম কোর্ট তার বিশেষ অধিকার প্রয়োগ করে নির্দেশনামা জারি করতে পারে কিংবা রায় দিতে পারে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন