আর্কাইভ থেকে আবহাওয়া

ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ নিয়ে যে তথ্য দিলেন গবেষক

পুরো এপ্রিল মাস উত্তর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে কোনো লঘুচাপ/নিম্নচাপ/ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়নি। ফলে ব্যাপক পরিমাণ শক্তি জমা হয়েছে বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রের পানিতে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোচা খুবই শক্তিশালী হবে, এ বিষয়ে আমি হলফ করে বলতে পারি। বললেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক (পিএইচডি) গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।

ঘূর্ণিঝড় মোচা মোকাবিলায় করণীয় বিষয়েও কিছু নির্দেশনা গণমাধ্যমে দিয়েছেন এই গবেষক।

এক- উপকূলীয় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো আগামীকাল থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শুরু করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

দুই- দেশের কৃষক ভাইদের সব পাকা ধান মে মাসের ১২ তারিখের মধ্যে কেটে গোলায় তোলার অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিন- উপকূলীয় এলাকার মৎসচাষিদের জলোচ্ছ্বাস থেকে মাছের ঘের রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

চার- লবণ চাষিদের মে মাসের ১২ তারিখের মধ্যে সব লবণ তুলে ফেলার অনুরোধ জানাচ্ছি।

পাঁচ- জেলে ভাইদের অনুরোধ জানাচ্ছি ১০ তারিখের পরে নতুন করে সমুদ্রে মৎস্য আহরণে না যাওয়ার জন্য। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া চট্টগ্রাম বিভাগের জেলেরা যেন অবশ্যই ১১ মে’র মধ্যে ও খুলনা বিভাগের জেলেরা অবশ্যই ১২ মে’র মধ্যে উপকূলে ফিরে আসবেন। ১১ মে’র পরে যদি কোনো জেলে সমুদ্রে মাছ ধরতে যান তবে প্রাণ নিয়ে ফেরার সম্ভাবনা খুবই কম।

ছয়- বন্যা ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রতি বিনীত অনুরোধ উপকূলীয় সব বেড়িবাঁধের সব ত্রুটি কিংবা দুর্বল স্থানগুলো মে মাসের ১২ তারিখের আগেই মেরামত করার।

প্রসঙ্গত, মে মাসের ৩ তারিখের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ এবং মে মাসের ৫ তারিখের মধ্যে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ নিশ্চিত হওয়া যাবে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ ঠিক কোন শক্তিতে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে, আমার অভিজ্ঞতার আলোকে আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে এই ঘূর্ণিঝড় সরাসরি বাংলাদেশের উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করতে যাচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন