আর্কাইভ থেকে অপরাধ

নৈশপ্রহরী-পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৭

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার জিকেএস জুনিয়র গার্লস হাই স্কুলে দুই পদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে সাতজন আহত হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে এরই মধ্যে মো. আক্তার হোসেন নামের এক অভিভাবক সদস্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে জিকেএস জুনিয়র গার্লস হাই স্কুলে নৈশ প্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। কিন্তু এ নিয়ে অভিযোগ ওঠে- কমিটির সভাপতি মো. রেজাউল করিম ও প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম গোপনে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করেছে। পরে আজ ছুটির দিনে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার কার্যক্রম চালালে উত্তেজিত এলাকাবাসী স্কুল ঘিরে ফেলে। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের একপর্যায়ে সভাপতি রেজাউল গ্রুপের সঙ্গে তার প্রতিপক্ষ সেলিম গ্রুপের সংঘর্ষ শুরু হয়।

এই ঘটনার পর প্রধান শিক্ষক মুঠোফোনে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে সহায়তা চান সংঘর্ষ ঠেকানোর জন্য। খবর পেয়ে চেয়ারম্যান মো. বাবুল শেখ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। তার সামনেই ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে স্কুলের বিভিন্ন কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন। এ নিয়ে ওই এলাকায় উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জিকেএস জুনিয়র গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, নিয়োগের কার্যক্রম চালানোর জন্য স্কুলে কাজ করছিলাম। এমন সময় সভাপতি রেজাউল করিমের গ্রুপের সঙ্গে তার প্রতিপক্ষের সংঘর্ষ হয়। পরে চেয়ারম্যান এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

সভাপতি মো. রেজাউল করিম বলেন, এটা তেমন কিছু না। সব ঠিক হয়ে যাবে।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাবুল শেখ বলেন, সংঘর্ষের পর আমি স্কুলে যাই। গোপন প্রক্রিয়ায় সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক নিয়েগের চেষ্টা চালালে উত্তেজিত এলাকাবাসী স্কুলে গিয়ে নিয়োগ বন্ধের দাবি জানালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন