বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়
লঙ্কানদের বিপক্ষে তরুণ ও অভিজ্ঞদের মিশ্রণে গড়া স্কোয়াড নিয়ে চ্যালেঞ্জিং সিরিজের শুরুটা আশানুরূপ হয়নি বাংলাদেশের। ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে হারের পর আজ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামে টাইগ্রেসরা। শ্রীলঙ্কার মাটিতে এর আগে কখনো টি-টোয়েন্টিতে জয়ের দেখা পায় নি বাংলাদেশ। তাই এই সফরটি বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটে ইতিহাস রচনার হাতছানি। কলম্বোতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। ১৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিগার সুলতানা জ্যোতির বিধ্বংসী অর্ধশতকে ১ বল হাতে রেখে ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
১৪৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয় নি সফরকারীদের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার শামিমা সুলতানাকে হারায় টাইগ্রেসরা। পাওয়ার প্লেতে পঞ্চম ওভারে রুবাইয়া হায়দারকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু দলের বিপর্যয়ে হাল ধরেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা ও সুবহানা মুস্তারি।
এই দুই ব্যাটারের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫১ রানের পার্টনারশিপে ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। ১২ তম ওভারে ১৭ রান করে সুবহানা ফিরে গেলেও এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকেন জ্যোতি। তার সঙ্গে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৭১ রান তুলে দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন রিতু মনি।
৫১ বলে ৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন নিগার সুলতানা। রিতু খেলেন ২৩ বলে ৩৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। এই জয়ে দীর্ঘ ৯ বছর পর শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে কলম্বোতে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ওপেনার ভিস্মি গুনারত্নে দলীয় ১৬ রানে সাজঘরে ফিরে যান।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন লঙ্কান অধিনায়ক। চামারির বিধ্বংসী ব্যাটিং বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখতে থাকে শ্রীলঙ্কা। তবে ইনিংসের নবম ওভারে নাহিদা আক্তারের শিকার হন আতাপাত্তু। ২৮ বলে ৩৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে হার্শিতা ও নিলাকশীর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কা। এই দুই ব্যাটারের ৪৩ রানের পার্টনারশিপে বড় সংগ্রহের ভীত পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান সংগ্রহ করে লঙ্কানরা।
সর্বোচ্চ ৪৫ রান আসে হার্শিতার ব্যাট হতে। বাংলাদেশের হয়ে দুইটি উইকেট নেন ফাহিমা খাতুন।