দগ্ধ কেউই আর বেঁচে নেই নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণে
নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে স্টিল মিলের চুল্লিতে বিস্ফোরণে দগ্ধ মো. ইব্রাহিমও মারা গেছেন। এ নিয়ে দগ্ধ ৭ জনই মারা গেলেন।
বুধবার (১০ মে) সকাল ৯টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ইব্রাহিমের মৃত্যু হয়।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া।
তিনি জানান, মো. ইব্রাহিমের শরীরের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৯টার দিকে তিনি মারা গেছেন। মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মো. ইব্রাহিমের আত্মীয় মো. আলমামুন জানান, তার বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার গজালিয়া গ্রামে। ইব্রাহিমের বাবার নাম মোকলেসুর রহমান হাওলাদার (মৃত)। স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে তিনি রুপগঞ্জের গাউছিয়া চুঙ্গিপাড়ায় থাকতেন।
গেলো বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকেল ৪টার দিকে রুপগঞ্জের গাউছিয়া সাউঘাট এলাকার ‘আরআইসিএল স্টিল মিলে’ লোহা গলানোর ভাট্টিতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে গলিতো তরল লোহা শ্রমিকদের ওপর ছিটকে পড়লে গুরুতর দগ্ধ হন ৭ জন।
হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান শংকর নামে একজন। আর বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে মারা যান ইলিয়াস। শুক্রবার (৫ মে) সকাল সোয়া ১০টার দিকে নিয়ন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আলমগীর, মধ্যরাতে মারা যান রাব্বি। আর শনিবার (৬ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মারা যান জুয়েল।
ঘটনার দিন কারখানাটির সুপারভাইজার হারুন অর রশিদ জানান, তারা কারখানায় ভাট্টিতে লোহা গলানোর কাজ করছিলেন। ভাট্টির আশপাশে ১৫-১৬ জন শ্রমিক ছিলেন। হঠাৎ করেই ভাট্টিতে বিস্ফোরণ হয়ে গলিত লোহা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তারা দগ্ধ হন। উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে দগ্ধদের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।