আর্কাইভ থেকে আবহাওয়া

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ৩০৫ কি.মি দূরে

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ কক্সবাজার সমুদ্রবদর থেকে ৩০৫ কি.মি দূরে অবস্থান করছে।চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কি:মি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে রয়েছে।

আজ রোববার (১৪ মে, ২০২৩) সকাল ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি, ক্রমিক নম্বর ১৮ এ তথ্য জানানো হয়েছ্।

আবহাওয়া অফিস জানায়, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর উত্রপূর্বদিকে অগ্রসর ও ঘণীভৃত হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় (১৮:৮০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১.৩০পূ্ দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ রোববার (১৪ মে, ২০২৩) সকাল ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কি:মি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবদর থেকে ৩০৫ কি.মি, দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদরন্দর থেকে ৩৭০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (১৪ মে ২০২৩) বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ (সিটুয়ের) মোয়ানমার) নিকট দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১৫ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে৷

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুন:) ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং তাদের অদুরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ০৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুন:) ০৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ০৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হশিয়ারী সংকেত (পুন) ০৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদুরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার নদী বন্দরসমূহকে ০৪(চার) নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত (পুন:) ০৪ (চার) নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অতি প্রবল ঘরণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপপার্থকোর আধিক্য প্রভাবে উপকলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তদের অদূরবর্তীদ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতায় বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বালকাহি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অনুরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৫-০৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে৷

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (:৮৯ মিমি)বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কল্পবাজার, বান্দরবান, রাজ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম পাহাড়ী অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন