আর্কাইভ থেকে জাতীয়

বিশ্ব মা দিবস আজ

আজ বিশ্ব মা দিবস। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার এ দিবস পালিত হয়। সেই হিসেবে আজ (১৪ মে) বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই পালিত হচ্ছে দিবসটি।

পৃথিবীতে যতো সম্পর্ক আছে তার মধ্যে যে সম্পর্ক, তা সকল স্বার্থের ঊর্ধ্বে। আর সেটি হলো মা সন্তানের সম্পর্ক। পৃথিবীর আলো দেখানো থেকে শুরু করে সারাটি জীবনের জন্য মা তার সন্তান কে আগলে রাখেন পরম মমতায়। সন্তানের জন্য মমতাময়ী মা যেন ভালোবাসার এক অসীম ভান্ডার। সন্তানের জীবনে মায়ের অবদান যেমন সীমাহীন ঠিক তেমনি এই ঋণ কোন দিন শোধের অযোগ্য। মা কখনো ধনী বা দরিদ্র হোন না। একজন মায়ের পরিচয় সব সময়ই একই আর সেটি তিনি হলেন মা। সব মায়ের বৈশিষ্ট্যই এক; তিনি সন্তানের জন্য অকাতরে জীবন দিয়ে দিতে পারেন।

বিশ্ব মা দিবসটিতে কেও কেও তাদের মা’কে ভালোবেসে জড়িয়ে ধরেন, কেও মা’কে হ্যাপি মাডার’স ডে বলে ফুল উপহার দেন। কেউবা না না উপহার দিয়ে উদযাপন করেন মা দিবস।

কিন্তু দিনটি কীভাবে এলো? কেন পালন করা হয় এই মা দিবস? এর গুরুত্ব কী, তা হয়তো অনেকের অজানা।

১৯০৭ সালের ১২ মে প্রথমবার আমেরিকার ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার গ্রাফটন শহরে 'মাদার্স ডে' বা মা দিবস পালিত হয়।

এই দিনটি পালনে রয়েছে এক ইতিহাস। ভার্জিনিয়ায় অ্যান নামে এক শান্তিবাদী সমাজকর্মী ছিলেন। তিনি নারী অধিকার নিয়ে কাজ করতেন। তিনি ‘মাদারস ডে ওয়ার্ক ক্লাব’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ছোট ছোট ওয়ার্ক ক্লাব বানিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে নিতে চেষ্টা করতেন। নারীদের স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করতেন। অ্যান ছিলেন খুবই ধর্মপ্রাণ।

অ্যানের একটি মেয়ে ছিল, যার নাম  আনা মারিয়া রিভস জার্ভিস।

একদিন ছোট মেয়ের সামনেই অ্যান হাত জোড় করে বলেছিলেন—  'আমি প্রার্থনা করি, একদিন কেউ না কেউ, কোনো মায়েদের জন্য একটা দিন উৎসর্গ করুক। কারণ তারা প্রতিদিন মনুষ্যত্বের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে চলেছেন। এটি তাদের অধিকার।

মায়ের সেই প্রার্থনা হৃদয়ে নাড়া দিয়ে যায় অ্যানার। অ্যানের মৃত্যুর দিনটিকে সারাবিশ্বের প্রতিটি মায়ের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন তিনি।  তারপর থেকে মায়েদের প্রতি সম্মানে পালিত হয়ে আসছে মা দিবস।

১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন