আর্কাইভ থেকে আবহাওয়া

সেন্টমার্টিন ঘূর্ণিঝড় মোখায় আক্রান্ত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এর প্রভাবে উত্তাল সাগর। সেন্টমার্টিনসহ কক্সবাজার উপকূলে বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসের গতিবেগও বেড়েছে। নাফ নদীতে পানির উচ্চতা বাড়ছে। সেন্টমার্টিন ঘূর্ণিঝড় মোখায় পুরো আক্রান্ত হয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে। সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতিবেগ ১০০ কিলোমিটারের বেশি। জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আজ রোববার (১৪ মে) বেলা ১টায় এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে, স্থানীয়রা জানান, পুরো সেন্টমার্টিনকে তছনছ করে দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। অতুলনীয় তীব্র বাতাস। ভেজা বালি পর্যন্ত উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জোয়ার আসার সময়ও ঘনিয়ে আসছে! জোয়ারের পানি আসলে সেন্টমার্টিনের জন্য বড়ই হুমকি।  আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন।

আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিংয়ে বলা হয়, উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৯.৭৭ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২.৪পূব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে৷ এটি আজ দুপুর ১২ টায় (১৪ সে ২০২৩) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৮৫ কিস. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিমি দক্ষিণে, মোংলা সমুবন্দর থেকে 8৪৫ কি:মি. দক্ষিপ-দক্ষিপূ্বে এবং পায়রা সমুবন্দর থেকে ৩৪৫ কি:মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।

কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রমরত ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আজ বেলা ৩ টা নাগাদ উপকৃল এবং সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা নাগাদ সিটুয়ের (মিয়ানমার) নিকট দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র ৭৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কি.সি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কি.মি, পর্ব পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুন) ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ০৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুন:) ০৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ০৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারী সংকেত (পুন:) ০৪ চোর) নন্বর স্থানীয় হঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে৷

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার, চট্গাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার নদী বন্দরসমূহকে ০৪(চার) নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত (পুন:) ০৪ (চোর) নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বাযুচাপ পার্থকোর আধিক্যের প্রভাবে উপকুলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং 'তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যে প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদুরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিমাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৫-০৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন