আর্কাইভ থেকে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র

শুকিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি হ্রদ ও জলাশয়

শুকিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি হ্রদ ও জলাশয়। এর ফলে ভয়াবহ হুমকিতে পড়েছে কৃষি, জলবিদ্যুৎ ও মানুষের পানযোগ্য পানির ভবিষ্যৎ। গেলো তিন দশকে বিশ্বের বড় দুই হাজার হ্রদ এবং জলাধারের মধ্যে ৫৬ ভাগ প্রায় শুকিয়ে গেছে। প্রধানত জলবায়ু পরিবর্তন, মানুষের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার, কৃষিখাতে পানি নির্ভরতা ও অপরিকল্পিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে।

সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বিশ্বের অর্ধেকের বেশি বড় হ্রদ ও জলাশয় শুকিয়ে গেছে বা শুকিয়ে যাওয়ার মুখে। এর একটি কারণ অবশ্যই বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। তার সঙ্গে রয়েছে মানুষের হঠকারী আচরণও।

এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন করেছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ৫৬ ভাগ বড় হ্রদ এবং জলাধার শুকিয়ে সঙ্কুচিত হয়েছে। বিশ্বের দুই হাজার জলাশয় এবং হ্রদ পর্যবেক্ষণ করে এই গবেষণা রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।

গবেষকদের বক্তব্য, ইউরোপ এবং এশিয়ার মধ্যবর্তী কাস্পিয়ান সাগর থেকে দক্ষিণ আমেরিকার লেক টিটিকাকা পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিঠা পানির উৎসগুলোর মধ্যে কয়েকটি প্রায় তিন দশক ধরে প্রতি বছর প্রায় ২২ গিগাটন হারে পানি হারিয়েছে। যা স্বাভাবিকের চেয়ে বহুগুণ বেশি।

ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার সারফেস হাইড্রোলজিস্ট ফ্যাংফ্যাং ইয়াও সায়েন্স জার্নালে এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ৫৬ শতাংশ প্রাকৃতিক হ্রদ শুকিয়ে যাওয়ার পেছনে জলবায়ু উষ্ণায়ন এবং মানুষের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার অন্যতম। এই দু’টির সঙ্গে বৈশ্বিক উষ্ণতা সংকটকে আরও তীব্রতর করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুকিয়ে যাওয়া হ্রদ অববাহিকায় বসবাস করা প্রায় ২০০ কোটি মানুষ এই পরিস্থিতিতে সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়েছে।

More than half of the world’s largest lakes have declined over the past three decades.

Nearly one-quarter of the world’s population resides in a basin with a drying lake, which underscores the importance of management solutions. Learn more in Science: https://t.co/Z3Nb6rFqDu pic.twitter.com/T3scUHC4KJ

— Science Magazine (@ScienceMagazine) May 18, 2023

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন