গ্রাজুয়েট শরবত পড়া ‘খাইলেই চান্স'
গুচ্ছভূক্ত ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রে ৬৮৫০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৭৬৭ জন অংশ নিয়েছেন। অধিকাংশ পরীক্ষার্থীর সঙ্গে ক্যাম্পাসে এসেছেন অভিভাবকরাও।
আর এই ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে জমে উঠেছে শরবত বিক্রেতাদের ব্যবসা। তীব্র দাবদাহে শরবতের গ্লাসে যেন শান্তির ছোয়া মিলছে। শারীরিক প্রশান্তি ও মনে তৃপ্তি আনতে যেন এর বিকল্প নেই। লেবু, শরবত পাওডার, বিট লবন সহ বিভিন্ন উপকরণ থাকছে এসব শরবতে।
শরবত বিক্রেতাদের তথ্যমতে, ক্যাম্পাসে অন্তত ৮ জন বিক্রেতা শরবত বিক্রি করেছেন। শুধু পরীক্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকের কাছ থেকে অন্তত ৩৫০ থেকে ৪০০ গ্লাস শরবত বিক্রি হয়েছে। যার মোট সংখ্যা দাঁড়ায় তিন হাজারের বেশি গ্লাস। আর ১০ টাকা হারে প্রতি গ্লাস শরবত বিক্রি হয়। সে হিসেবে পরীক্ষা চলাকালীন ৩ ঘন্টার মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি টাকার শরবত বিক্রি হয়েছে।
এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী শরবত বিক্রি করেছেন ২০০ গ্লাসের বেশি। ওই শিক্ষার্থীর নাম ফারহান শাহরিয়ার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি জানান, ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে তিনি শরবত বিক্রির উদ্যোগটি হাতে নিয়েছেন। তিনি ২০০ গ্লাসের বেশি শরবত বিক্রি করেছেন। শেষে লেবু, পানি সহ অন্যান্য সামগ্রী সংকটের কারণে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারেননি।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ধারণাও করতে পারিনি এত বেশি শরবত বিক্রি করতে পারবো। শরবত বিক্রির সময় আমাকে আমার সিনিয়র, জুনিয়র ও বন্ধুরা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আগামী পরীক্ষাগুলোতে আরো বড় পরিসতে শরবত বিক্রির চিন্তা করছি।
জিয়া মোড়ের এক শরবত বিক্রেতা বলেন, লেবুর খোসায় আমার ক্যারেট ভর্তি হয়ে গেছে। আজকে সাড়ে ৩শ এর বেশি গ্লাস শরবত বিক্রি হয়েছে। ৫০০ মত লেবু এনেছিলাম। রাতের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে আশা করি।
ডায়না চত্ত্বরের পাশের এক শরবত বিক্রেতা বলেন, ধারণার বাইরে আজকে শরবত বিক্রি হয়েছে। তা অন্তত ৪০০ গ্লাস তো হবেই। অর্ডার নিয়েও কুলাতে পারছিলাম না। পরে চাহিদা থাকলেও সাপ্লাই দিতে পারিনি।
চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা নাজমুল হোসেন নামে এক ভর্তিচ্ছু বলেন, পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে গলা শুকিয়ে গিয়েছিল। তার উপর আজকে প্রচন্ড গরম ছিল। হল থেকে বের হয়ে শরবত খুঁজতে গিয়ে বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে। প্রথমে তিনটা দোকানে খুঁজে শরবত পাইনি। পরে আরেকটা দোকানে শরবত পেয়েছি। শরবত গলায় পড়ার সাথে সাথে যেন অন্য রকম এক প্রশান্তি অনুভূত হলো।