আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

কয়েক মাস ধরে তার মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি: তথ্যমন্ত্রী

বিতর্কিত মন্তব্য এবং চিত্রনায়িকার সঙ্গে কথোপকথনের রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর দেশজুড়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সরকারের সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। তাকে নিয়ে কথা বলছেন মন্ত্রী-এমপিরাও। 

ডা. মুরাদের পদত্যাগ নিয়ে আজ মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ধরেই প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে কিছু পরিবর্তন দেখছিলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত তিন মাস ধরে তার (ডা. মুরাদ) মধ্যে কিছু পরিবর্তন দেখছিলাম। তবে তিনি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমাদের কাজে সহযোগিতা করেছেন।  

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের কিছু বক্তব্য সরকার ও দলকে বিপদে ফেলে দিয়েছে। তবে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন এবং পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। এদিকে ডা. মুরাদকে জামালপুর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক এর পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

সম্প্রতি অশ্লীল ফোনালাপ ফাঁসের পর দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার (৬ ডিসেম্বর) তাকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন ডা. মুরাদ হাসান। বর্তমানে পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের দপ্তরে রয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার পর তিনি  পদত্যাগপত্র পাঠান। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বিষয়টি জানান।

সম্প্রতি একটি ভার্চুয়াল টকশোতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ। এরপর তার সমালোচনা করেন অনেকে। শুধু তাই নয়, তার পদত্যাগেরও দাবি ওঠে। 

এছাড়া ডা. মুরাদ হাসান ও ঢালিউডের এক চিত্রনায়িকার মধ্যকার কথোপকথনের কল রেকর্ড ফাঁস হয়। যা ইতোমধ্যে টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। অডিও ক্লিপটিতে শোনা যায়, ওই নায়িকাকে তাৎক্ষণিক তার কাছে যেতে বলছেন মুরাদ। নায়িকা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দেন প্রতিমন্ত্রী।

মূলত ওই কল করা হয়েছিল চিত্রনায়ক ইমনের ফোনে। ওই মুহূর্তে একটি সিনেমার বিষয়ে মিটিং করছিলেন ইমন ও সেই নায়িকা। সঙ্গে ছিলেন পরিচালক ওয়াজেদ আলী সুমনও। ফোনকল রেকর্ড নিয়ে যখন তোলপাড়, তখন স্বাভাবিকভাবেই ইমনের নামটিও উঠে আসে আলোচনায়। তবে ওই পরিস্থিতিতে মন্ত্রীকে কেবল সামাল দিতে চেয়েছিলেন বলে জানান ইমন। 

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন