এমপি হারুনের সাজা হাইকোর্টে বহাল
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন নিম্ন আদালত। পরে হাইকোর্টে আপিল করেন হারুন।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. সেলিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সাজা বহাল রেখে এ আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, এ মামলায় হারুন যে ১৬ মাস হাজতবাস করেছেন সেই সময়কালটাই সাজা হিসেবে গণ্য হবে। তাকে নতুন করে আর জেলে যেতে হবে না।
এছাড়া আদালত মামলার অপর দুই আসামি ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান ও গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেকের সাজাও বহাল রেখেছেন। তাদেরও নতুন করে আর জেলে যেতে হবে না
বিচারিক আদালতের ওই রায়ে এমপি হারুন ছাড়াও আসামি এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অপর আসামি ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, হারুন জোট সরকারের সময় ২০০৫ সালে ব্রিটেন থেকে একটি হ্যামার ব্র্যান্ডের গাড়ি শুল্কমুক্তভাবে ক্রয় করে। গাড়িটি তিনি পরে আরেক আসামি ইশতিয়াক সাদেকের কাছে ৯৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এরপর সাদেক গাড়িটি বাপ্পীর কাছে বিক্রি করেন।
নিয়ম অনুযায়ী শুল্কমুক্ত গাড়ি তিন বছরের মধ্যে বিক্রি করলে শুল্ক দিতে হয়, কিন্তু আসামি হারুন শুল্ক না দিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করেন।
তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়। মামলার বাদী হলেন- পুলিশের উপপরিদর্শক ইউনুস আলী। মামলাটি তদন্ত করে হারুন অর রশীদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৮ জুলাই আদালতে চার্জশিট দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোনায়েম হোসেন। পরে আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একই বছরের ২০ আগস্ট বিচার শুরু করেন। যার ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর হারুন অর রশীদকে পাঁচ বছরের দণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।