কুমিল্লায় নির্বাচনি সহিংসতায় আহত যুবকের মৃত্যু
কুমিল্লায় নির্বাচনি সহিংসতায় শাকিল হোসেন (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শাকিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের পেরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী এমএ হামিদের নির্বাচনি পথসভায় হামলা হয়। এ সময় ১৫ জন আহত হন। এদের মধ্যে শাকিল হোসেনের মৃত্যু হয়।
শাকিল নাঙ্গলকোট উপজেলার আশারকোটা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, উপজেলার পেরিয়া ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান এমএ হামিদের পথসভা চলাকালে বুধবার রাতে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী হুমায়ুন কবির মজুমদারের সমর্থকরা। এতে বিদ্রোহী প্রার্থী এমএ হামিদের ১৫ সমর্থক আহত হন। তাদের মধ্যে শাকিল, ইউনিয়নের জোড়পুকুরিয়া গ্রামের প্রবাসী মোহাম্মদ ফরিদ ও ফরহাদ হোসেনকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত শাকিল হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শাকিল ঢাকায় ফুলকলি নামে একটি বেকারিতে কাজ করতেন। ৪ ভাই বোনের মধ্যে শাকিল সবার ছোট। তার ১ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী এমএ হামিদ জানান, নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির মজুমদারের লোকজন হামলা করে আমার ১৫ জন সমর্থককে আহত করে। এদের মধ্যে শাকিল হোসেন ঢাকা মেডিকেলে মারা যান। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির মজুমদার বলেন, শুনেছি বুধবার ঝামেলা হইছে। ওই ঝামেলায় রাতে একটা ছেলে মারা গেছে। তবে হামলার বিষয়ে কিছুই জানি না।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, শাকিল নামে এক যুবক মারা গেছেন। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
মুক্তা মাহমুদ