গাজীপুর সিটি নির্বাচন: মনিটরিং হচ্ছে সিসি ক্যামেরায়
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সব কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। ভোটগ্রহণের শুরু থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এদিন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের পঞ্চম তলায় কন্ট্রোল রুম থেকে নির্বাচন মনিটরিং শুরু হয়। সকাল থেকেই নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।
মোট ৪ হাজার ৪৩৫টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ১৮টি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে একই সঙ্গে ৪৬৬টি সিসি ক্যামেরায় সব ভোটকক্ষ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতিটি ডিসপ্লে ১০ সেকেন্ড পরপর অটো রোটেড করে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ চলছে।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে অস্থায়ী ভোটকক্ষ রয়েছে ৪৯১টি। প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে আর কেন্দ্রপ্রতি দুটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে কমিশন। নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন, নারী পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১৮ জন।
সিটি করপোরেশনে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
এর আগে রংপুর সিটি করপোরেশন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, ঝিনাইদহ পৌরসভা ও গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গাজীপুর সিটিতে সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করছে ইসি।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আট জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র পদপ্রার্থীরা হলেন- নৌকা প্রতীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএম নিয়াজ উদ্দিন, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ। এছাড়া স্বতন্ত্র থেকে মেয়র পদে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা), ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।