আর্কাইভ থেকে এশিয়া

৪১ লাখ লিটার পানি সেচের ঘটনায় ওই কর্মকর্তা বরখাস্ত

ভারতে নিজের ফোন উদ্ধারে জলাধারের পানি সেচে ফেলার নির্দেশ দাতা ওই সরকারি কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সেলফি তুলতে গিয়ে ফোন পড়ে গিয়েছিল কর্মকর্তা রাজেশ বিশ্বাসের। তারপর তার নির্দেশে তিনদিনে জলাধারটির অন্তত ৪১ লাখ লিটার পানি সেচে ফেলে দেয়া হয়।

কিন্তু ফোনটি যতক্ষণে পাওয়া যায়, ততক্ষণে তাতে এতই পানি ঢুকে গেছে যে সেটিকে আর সচল করা সম্ভব হয়নি।

ফোনে সংবেদনশীল সরকারি তথ্য থাকায় সেটি উদ্ধার করা জরুরি ছিল বলে রাজেশ দাবি করলেও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে, জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

গত ২১ মে ছত্তিশগড়ের খেরকাট্টা বাঁধের জলাধারে খাদ্য পরিদর্শক রাজেশের হাত থেকে ওই এক লাখ রুপি মূল্যের স্যামসাং ফোনটি পড়ে যায়।

স্থানীয় ডুবুরিরা সেটি খুঁজে পেতে ব্যর্থ হওয়ার পর সরকারি এ কর্মকর্তা ডিজেল পাম্প কিনে আনার টাকা দেন বলে তার এক ভিডিও বিবৃতির বরাত দিয়ে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

ওই ভিডিও বিবৃতিতে রাজেশ বলছেন, তিনি ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার কাছ থেকে ‘জলাধারের কিছু পানি সেচে তা কাছাকাছি একটি খালে’ সরিয়ে নেওয়ার মৌখিক অনুমতি পেয়েছিলেন।

ওই কর্মকর্তা তাকে বলেছিলেন, এতে বরং ‘কৃষকদের সুবিধাই হবে, তারা বাড়তি পানি পাবে।`

ডিজেল ওই পাম্পটি কয়েকদিন ধরে চলে, ফেলে দেয় প্রায় ২০ লাখ লিটারের মতো পানি, যা দিয়ে ৬ বর্গকিলোমিটার কৃষিজমিতে সেচ দেয়া যেত।

অভিযোগ পেয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সেখানে হাজির হলে রাজেশের ওই ‘পানি সেচা’ কার্যক্রম থামে।

“তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ, এভাবে এটা নষ্ট করা যায় না,” গণমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে বলেছেন ছত্তিশগড়ের কানকের জেলার কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা শুক্লা।

রাজেশ তার বিরুদ্ধে ওঠা ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি বাঁধের যে অংশে অতিরিক্ত পানি ছিল সেখান থেকেই পানি সরিয়েছেন আর সেই পানি ‘ব্যবহারের উপযোগী ছিল না’।

একজন সরকারি কর্মকর্তার এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেছে ভারতের মধ্যাঞ্চলীয় এই রাজ্যটির প্রধান বিরোধীদল বিজেপি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন