কংক্রিটে মোড়া কাঠের বাক্সে মিললো অভিনেতার দেহ
প্রায় পাঁচ মাস আগে আচমকা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন ব্রাজিলের জনপ্রিয় অভিনেতা জেফেরসন মাচাডো। এবার সেই ৪৪ বছর বয়সী অভিনেতার মরদেহ মিলেছে মাটির নিচে কাঠের বাক্সে। তার এমন রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে তোলপাড় ।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, জেফেরসনের ৭৩ বছর বয়সী মা মারিয়া দাস ডোরেসের এক মেসেজ পেয়েছিলেন। যেখানে একাধিক ভুল বানানে ভর্তি একটা মেসেজ পাঠানো হয়েছিল। যেখানে জেফেরসনের একটি মেসেজ আসে। সেখানে বলা হয়, তার ফোন কমোডে পড়ে গিয়েছে। তাই তিনি ভিডিও কল করতে পারছেন না। এরপর শেষ কথা হয় গত ২৯ জানুয়ারি। তারপর থেকে তার ফোনের লোকেশন নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। ক্লাউডের পাসওয়ার্ডও বদলে গিয়েছে।
ঘটনার কয়েকদিন পরেই জেফেরসনের রিও ডি জেনেরিওর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে মাটির তলা থেকে কাঠের বাক্সে হাত পা বাঁধা অবস্থায় মৃতদেহ পাওয়া যায় নায়কের। মাটির ৬.৫ ফুট তলা থেকে বাক্সটি পাওয়া যায়।
জেফেরসন মাচাডোর আইনজীবী বলেছেন, “তার হাত পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল। যে ট্রাঙ্কটিতে তার দেহ রাখা ছিল, সেটি হুবহু তার নিজের বাড়িতে থাকা অন্যান্য ট্রাঙ্কগুলির মতো দেখতে।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে মাচাদোর মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছিল। ময়না তদন্তে তার ঘাড়ে একটি দাগ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তা থেকে বোঝা গিয়েছে যে অভিনেতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
গত জানুয়ারিতে রিও ডি জেনেইরো শহরে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন জেফারসন মাচাডো। এক বেসরকারি সংস্থা মাচাডোর পরিবারকে ফোন করে জানিয়েছিল, মাচাডোর বাড়িতে তার আটটি কুকুর আটকে আছে। আর কেউ বাড়িতে নেই। এরপরই তার নিখোঁজ হওয়ার খবর জানা গিয়েছিল।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানিয়েছিল, তাকে শেষবার ক্যাম্পো গ্রান্দে এলাকায় দেখা গিয়েছে। সেই ক্যাম্পো গ্রান্দের একটি বাড়ির পিছন থেকেই উদ্ধার হয়েছে তার দেহ। মাটির তলা থেকে ট্রাঙ্কটি বের করতে পুলিশের নয়জন লোক লেগেছে। ওই বাড়িটি যিনি ভাড়া নিয়েছিলেন, সেই ব্যক্তিকে জেরা করছে পুলিশ।
সেই বাড়ির মালিক দাবি করেন, তিনি অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তিকে ভাড়া দিয়েছিলেন এই বাড়ি। যে কিনা মাচাডোকে চেনে বলে দাবি করেছে। সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে, গত মাসে সেই বাড়িতে ঢুকছেন ওই ব্যক্তি।
মূলত সোপ-অপেরাা অভিনেতা হলেও, ২০২১ সালের চলচ্চিত্র “প্ল্যাসিবো এফেক্ট”-এ অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেটির সহ-কাহিনিকারও ছিলেন মাচাদো।