আবারও লকডাউন নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে
আবারো লকডাউন নিউজিল্যান্ডের বৃহত্তম অকল্যান্ডে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রোববার সাতদিনের জন্য লকডাউন জারি করেছে দেশটির সরকার। শহরটিতে এক মাসেই লকডাউন জারি করা হয়েছে দুইবার।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, সম্প্রতি নতুন ধরনের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর স্থানীয় সময় শনিবার রাতে অকল্যান্ডে লকডাউন জারি করেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন। ২১ বছর বয়সী ছাত্র এক সপ্তাহ ধরে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। তবে তিনি আইসোলেশনে ছিলেন না।
টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেন, আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকার পরও নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের সংখ্যা আরও বেশি হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেসিন্ডা আর্ডার্ন আরো বলেন, কোভিডের কারণে মানুষ মারা যাচ্ছে। মানুষের জীবন বাঁচাতে আমাদের নানা ধরনের পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।
অকল্যান্ডে আজ রোববার থেকে লকডাউন কার্যকর হয়েছে। এর আওতায় তিনদিন বাড়িতে অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশটিতে চলতি মাসের মাঝামাঝি নাগাদ ব্রিটেনের নতুন প্রজাতির করোনার উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত নতুন ধরনের করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১৪ জন। আর সে কারণেই কড়াকড়ি আরোপ করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রায় ২০ লাখ জনসংখ্যার অকল্যান্ডে সাতদিনের লকডাউন জারি করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডে প্রায় এক বছর আগে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
এদিকে, কেউ আইসোলেশনের ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশনা সঠিকভাবে পালন না করলে কঠোর শাস্তির আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা জুদিথ কলিন্স।
করোনা মহামারির শুরু থেকেই কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে নিউজিল্যান্ড সরকার। ফলে এখন পর্যন্ত দেশটিতে সংক্রমণ ও মৃত্যু অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। ৫০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে দুই হাজারের বেশি। আর আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে মোট ২৬ জন।
এসএন