প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী মাঠে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে প্রার্থীদের মধ্যে আনুষ্ঠানিভাবে প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এবার রাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, ৩০টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত আসনে ৪৬ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১২জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর বিকেল থেকেই প্রার্থীরা নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করেছেন।
শুক্রবার (২ জুন) দুপুর ১২টায় রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করেন।
মেয়র পদে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন পেয়েছেন লাঙ্গল, ইসলামী আন্দোলনের মুরশিদ আলম ফারকী পেয়েছেন হাতপাখা আর জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার পেয়েছেন গোলাপ ফুল।
অপরদিকে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর এখন নগরীর পাড়া/মহল্লায় মাইকের আওয়াজে মুখরিত। চলছে প্রার্থীদের মোটরসাইকেল শো-ডাউনও। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা পোস্টারও সাটিয়েছেন।
প্রতিক বরাদ্দের পর রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা এলাকা থেকে প্রচারণা শুরু করেছেন রাসিকের সদ্য সাবেক মেয়র ও বর্তমান মেয়র প্রার্থী এইএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। প্রথম দিন তিনি নেতাকর্মী সমর্থকদের নিয়ে একটি প্রচার মিছিল বের করেন। মিছিলটি কাশিয়াডাঙ্গা এলাকার পাড়া মহল্লা প্রদক্ষিণ কনে শেষ হয়। এ সময় উন্নয়নের প্রতীক নৌকা মার্কায় পুনরায় ভোট চান লিটন।
এর আগে প্রতীক গ্রহণের পর এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন গণমাধ্যমকে বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখী একটি দল। নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিকাশ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন। নির্বাচন এলেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত আনন্দিত ও খুশি হয়। সারাদেশের মানুষকে নিয়ে একটি আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আজকে নির্বাচনে প্রতীক পেলাম। এটার মাধ্যমে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের নেতাকর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি এই নির্বাচনে ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ ভোট কাস্ট হতে পারে। এছাড়াও প্রতীক বরাদ্দের পর দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নগরীর সিএন্ডবি মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।