ভাতা বাড়ানোর দাবিতে রাজপথে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাসিক ভাতা ৮৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভাতা ২ হাজার টাকা করা এবং যোগ্যতা অনুসারে চাকরিসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে সংক্ষুব্ধ প্রতিবন্ধী নাগরিক সমাজ। এসব দাবি আদায়ে
আজ রবিবার (জুন ৪) রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘোরাওয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তবে শাহবাগেই তাদের আটকে দিয়েছে পুলিশ।
২০২৩-২৪ জাতীয় বাজেটে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ভাতা ন্যূনতম মাসিক ৫০০০ টাকা এবং শিক্ষা উপবৃত্তি মাসিক ২০০০ টাকা চান প্রতিবন্ধীরা।
তারা বলেন, ‘শিক্ষা উপবৃত্তি দেওয়া হলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ভাতা মেলে না। অথচ উপবৃত্তি দরকার শিক্ষা সামগ্রীর ন্যূনতম খরচ মেটানোর জন্য। তাই প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ভাতা মাসিক ৫০০০ টাকা এবং শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মাসিক ভাতা ৫০০০ টাকা ও শিক্ষা উপবৃত্তি ২০০০ টাকা দাবি করছেন তারা।
প্রতিবন্ধী মানুষের সরকারি চাকরিতে নিয়োগে বিশেষ নীতিমালা (কোটা) চান প্রতিবন্ধীরা। বলেন, আমরা নিজ নিজ যোগ্যতার ভিত্তিতে সমাজে সম্পৃক্ত হতে এবং মাথা তুলে দাঁড়াতে চাই। অথচ চাকরির ক্ষেত্রে দৃষ্টি, শ্রবণ ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নানারকম বঞ্চনার শিকার করা হচ্ছে।
তারা আরো বলেন, ২০১৮ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কোটা তুলে দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে। এজন্য অনতিবিলম্বে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ন্যূনতম ৫ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ন্যূনতম ১০ শতাংশ কোটা নিশ্চিত করা হোক। নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ নীতিমালা প্রণয়ন করে সরকারি কোন গ্রেডে বা শ্রেণিতে প্রতিবছর কতজন প্রতিবন্ধী নারীপুরুষ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে তার তালিকা ৩ ডিসেম্বর প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবসে ঘোষণা চান প্রতিবন্ধীরা।
ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জাতীয় সংসদ, স্থানীয় থেকে জাতীয়- সবপর্যায়ে প্রতিবন্ধী মানুষের প্রতিনিধিত্ব চান প্রতিবন্ধীরা। এ বিষয়ে তারা বলেন, আমাদের ছাড়া আমাদের উন্নয়ন, নীতি নির্ধারণ এবং সমাজের নানা স্তরে কার্যকর অংশগ্রহণ সম্ভব নয়। একীভূত এবং বহুত্ববাদী সমাজ গঠনে সর্বস্তরে আমাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের সর্বস্তরের কমিটিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অথবা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সংগঠনগুলোর ২-৩ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
তারা আরো বলেন, আমরা জোর গলায় বলতে চাই, ভিক্ষা নয়, এগুলো আমাদের প্রাপ্য অধিকার। আমাদের সংবিধান এবং প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সনদ, যেগুলোতে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে, সেগুলো আমাদের এই অধিকার দিয়েছে।