বন্ধ হয়ে গেলো পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
কয়লা সংকটের কারণে আজ সোমবার (৫ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় বন্ধ হয়ে গেলো পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়েছে।
এতে পটুয়াখালীসহ সারাদেশে ভয়াবহ লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা তাপবিদ্যুৎটি কেন্দ্র সমগ্র বরিশাল ও খুলনা এবং ঢাকার বেশ কিছু অংশের বিদ্যুতের নির্ভরযোগ্য উৎস ছিল।
গেলো শনিবার (৩ জুন)বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছিলেন জ্বালানি সংকটে ৫ জুনের পর পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি হাফ বন্ধ আছে এবং আমাদের সেকেন্ড হাফও আগামী ৫ জুনের পর বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ এখানে কয়লার অভাব দেখা গেছে। আর এটা আসতে ২০-২৫ দিন লেগে যাবে। কয়লা দেরিতে আসার কারণ এলসি খুলতে দেরি হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়গুলোও ছিলো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালের ২১ মার্চ পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করেছিলেন।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি (বিসিপিসিএল) চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি) এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এর মধ্যে ৫০:৫০ যৌথ উদ্যোগে।
জানা যায় যে, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাংলাদেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি ও চীনের সরকারি প্রতিষ্ঠান সিএমসির মাধ্যমে এতদিন পরিচালনা হয়ে আসছিল। পরে দুই প্রতিষ্ঠানের সমান মালিকানায় বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) নামে আলাদা একটি প্রতিষ্ঠান গঠিত হয়। বিগত দিনে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ৬ মাস বাকিতে কয়লা দিয়েছে সিএমসি। পরে আরও ৩ মাসের বকেয়াসহ ৯ মাসে এই বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে অন্তত ৩৯ কোটি ডলার। এই বকেয়া ডলার সংকটের কারণে পরিশোধ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। যে কারণে চীন থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হয়।