স্বামীর অপমানের প্রতিশোধ নিতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যা!
বেরিয়ে আসলো পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ শারমিন শিলাকে কুপিয়ে হত্যার আসল রহস্য।
পুলিশের তদন্তে জানা যায়, নিহত শিলার স্বামী ব্যবসায়ী রানাউর রহমান রানার বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করত খুনি সুমন আলী। গৃহকর্তা রানা বাড়িতে নির্মাণকাজ করা নিয়ে সুমনকে বকাবকি করেছিলেন। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে অপমানের প্রতিশোধ নিতে তাকে (রানা) হত্যা করতে ২১ ডিসেম্বর সকালে রামদা হাতে রানার বাড়িতে হাজির হয়েছিল সুমন। এ সময় রানাকে না পেয়ে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শারমিন শিলাকে কুপিয়ে হত্যা করে সুমন। খবর পেয়ে দ্রুত স্ত্রীকে বাঁচাতে ছুটে এলে সুমনের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে পড়ে গিয়ে রানা আহত হন।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে আসামি সুমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য জানায়।
অভিযুক্ত সুমন জবানবন্দিতে আরও জানায়, কাজ করার সময় তাকে কথায় কথায় অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও চরমভাবে অপমান করতেন রানা। এর প্রতিশোধ নিতে তিনি রানার বাড়িতে যান। কিন্তু ঘটনার সময় তার স্ত্রী সামনে চলে আসায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
সুমন আরও বলেন, আসলে গৃহবধূ শিলাকে হত্যা করতে চাইনি, হত্যা করতে চেয়েছিলাম তার স্বামী রানাকে। নিহত শারমিন শিলা উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মুনসিদপুর গ্রামের ব্যবসায়ী রানাউর রহমান রানার (৩৫) স্ত্রী।
এ ঘটনায় নিহত শারমিন শিলার বড় ভাই জুয়েল রানা বাদী হয়ে সুমন আলীকে একমাত্র আসামি করে মঙ্গলবার রাতে ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
ঈশ্বরদী থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধূ শারমিন শিলাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার পর তিনতলার ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয় সুমন আলী। এখনও পুলিশি পাহারায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মামলার একমাত্র আসামি গ্রেপ্তার রয়েছে। সে সুস্থ হলে আদালতের অনুমতি নিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।
এদিকে নিহত শিলার পরিবারের সদস্যরা জানান, শিলার স্বামী রানা গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা বলেছেন, তার হাতের একটি অংশ অস্ত্রোপচার করে কেটে ফেলতে হতে পারে।
এসআই