আর্কাইভ থেকে দুর্ঘটনা

সুগন্ধা নদীতে মাঝরাতে চলন্ত লঞ্চে পুড়ে ৩০ যাত্রীর মৃত্যু

পরিবারের সঙ্গে সপ্তাহের ছুটি কাটাতে বৃহস্পতিবার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে এমভি অভিযান-১০-এ রওয়ানা হয়েছিলেন অনেকেই। তবে আর বাড়ি ফেরা হলো না। রাত ৩টার দিকে আগুনে পানির ওপর ভেসেই পুড়তে হলো এই ঘর ফেরা মানুষগুলোকে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে সুগন্ধা নদীর গাবখান ধানসিঁড়ি এলাকায় ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুন লাগে। এতে ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দগ্ধ হয়েছে অর্ধশতাধিক। নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযান চলছে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, লঞ্চটির ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। ৩১০ জন যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি যাত্রা শুরু করে। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। পরে পার্শ্ববর্তী দিয়াকুল এলাকায় ভেড়ানো হয়।

লঞ্চের একাধিক যাত্রী জানান, রাত ৩টার দিকে লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। এসময় লঞ্চে বেশ কয়েকজন যাত্রী দগ্ধ হন। প্রাণে বাঁচতে বেশ কয়েকজন নদীতে ঝাঁপ দেন।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, আগুনে ৭০-৮০ জন দগ্ধ হয়েছেন। বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধদের দ্রুত পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর দগ্ধদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, লঞ্চটিকে বর্তমানে ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউড়িসাইক্লোন শেল্টারের পাশে (বিষখালী নদীর তীরে) নোঙর করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন