জীবিত হওয়ার আশায় ৬ দিন লাশের সাথে বসবাস
নরসিংদীর মনোহরদীর পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মৃত্যুর ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও খাটের নীচে লাশ রেখে পুনরায় জীবিত হওয়ার আশায় লাশের সাথে বসবাস করছে একটি পরিবার। জানা গেছে পুরো পরিবারটি একটি ভন্ড পীরের মুরিদ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, মনোহরদী পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে স্ত্রী ও ৪ সন্তান নিয়ে নিজ বাড়ীতে বসবাস করতেন মোক্তার উদ্দীন তালুকদার। গেলো সোমবার ভোরে তার স্ত্রী মাহবুবা তালুকদার মারা যান। মারা যাওয়ার আগে তার পরিবারেরে সবাইকে বলে যান মৃত্যুর তিন থেকে চার দিন পর পুনরুজ্জীবিত হবেন। সেই ধারাবাহিকতায় পীরে বিশ্বাসী পরিবারটি তার লাশ বসত ঘরের খাটের নীচে রেখে খুব স্বাভাবিক ভাবে দিন কাটাচ্ছিলেন। এতে পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয় স্বজনদের কেউ এতো বড়ো ঘটনা আঁচ করতে পারেননি। পরে ঘরের ভেতর থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে পাড়া প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ শনিবার মধ্যরাতে বাড়ীতে হানা দিয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতর খাটের নীচ থেকে নাজমা তালুকদারের(৫৬) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এ সময় নাজমার স্বামী মোক্তার উদ্দীন তালুকদার ও তার ৪ মেয়ে ঘরের ভেতরই অবস্থান করছিলেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের সবাইকে থানায় নিয়ে গেছে। বিষয়টির রহস্য উদঘাটনে পুলিশি তদন্ত অব্যহত রয়েছে।
মনোহরদী থানার ওসি ফরিদ উদ্দীন বলেন, পরিবারটি এক পীরের মুরিদ বলে জানিয়েছে। তারা প্রতিদিন ভোররাত ৩ টা থেকে সকাল ৫টা-৬টা পর্যন্ত জিকির করতেন। জিকিররত অবস্থায় নাজমার মৃত্যু ঘটে।এরপর আবার জীবিত হবে সেই আশায় ওই মহিলার লাশ তারা খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে। এই ঘটনা জানার পর পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। পরিবারের সবাইকে মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে মনে হয়েছে। তাদেরকে পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃত্যুর আসল কারণ বলা যাবে।
মেঘ