আর্কাইভ থেকে জাতীয়

বীমা খাতকে জনপ্রিয় করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বীমাকে জনপ্রিয়, এর প্রসার এবং এ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে বীমা সংশ্লিষ্ট সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার (১ মার্চ) ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’ উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়্যালি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় বীমা দিবস-২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার পক্ষে শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষা বীমার টাকা তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আ হ মমুস্তাফা কামাল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজে গিয়ে সম্মাননা দিতে পারলে ভালো লাগত। কিন্তু করোনা আমাকে একরকম বন্দি করে দিয়েছে। সমস্যা কাটিয়ে উঠতে আমরা টিকা নিয়ে এসেছি, দেওয়াও হচ্ছে। টিকা নেওয়ার পরও স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে হবে। হাত ধোয়া, মাস্ক পরা, এগুলোর মাধ্যমে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বীমা খাতে দুর্নীতি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন,  ‘অনেকে বীমা করে কৃত্রিমভাবে নিজের প্রতিষ্ঠান বা পণ্যের ক্ষতি করে বিশাল অংকের ক্ষতিপূরণ দাবি করে। এ বিষয়টি নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যারা তদন্ত করবে তারা যেন প্রশিক্ষিত ও দক্ষ হয় এবং কোনোভাবে প্রভাবিত না হয়ে সিঠিত তদন্ত করে। কেননা অনেক সময় এরা অল্প ক্ষতিকে বেশি করে দেখায়।’

শেখ হাসিনা বলেন,  ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীমা খাতে কাজ করতেন। তিনি বীমা নিয়ে মানুষকে সচেতন করেছিলেন এবং এর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রসার ঘটিয়েছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় তিনি সরকারে এসে বীমা খাতে নানা সংস্কারমূলক কাজ করেছেন বলে উল্লেখ করেন জাতির পিতার কন্যা। ২০০৯ সালে সরকারে এসে বীমা নীতিমালা প্রণয়ন করেন। স্বাস্থ্যবীমা সম্পর্কে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। এর প্রসার বাড়াতে হবে। মানুষের কাছে বীমাকে আস্থাশীল করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা চালু করা হয়েছে। বার্ষিক ৮৫ টাকা দিয়ে একটা পলিসি করতে পারবে। এক্ষেত্রে নতুন বিবাহিত কাপল বীমা করলে সন্তান শিক্ষা সমাপনী পর্যন্ত আর কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না, এরকম ব্যবস্থা করতে হবে। বার্ষিক ২৮৫ টাকা দিয়ে একজন খেলোয়াড়ও নিজের জীবন সুরক্ষিত রাখতে পারবে প্রবাসীদের জন্যও বীমার সুযোগ রাখা হয়েছে।’

বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমার আওতায় শিক্ষার্থীদের বিদেশে পাঠানো হবে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘যারা এ সুযোগ নেবেন তাদের শিক্ষা শেষে দেশে ফিরে আসতে হবে। বীমায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে এদেশের বীমা খাতের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।’

অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন ও আর্থিক বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম। এবারের বীমা দিবসের স্লোগান- ‌‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, বীমা হোক সবার।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন,  ‘এতে করে এ খাতে স্বচ্ছতা ও স্পষ্টতা যেমন আসবে তেমনি কাজেও গতি বাড়বে।  জীবন বীমা, সাধারণ বীমা ও ইনসুরেন্স ইনস্টিটিউটকে অটোমেশনের আওতায় আনতে ৬৩২ কোটি টাকার কাজ চলছে।’

শুভ মাহফুজ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন