আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

স্বপ্নের অভিষেকে ভেঙে চুরমার ১৩৫ বছরের রেকর্ড

স্কট বল্যান্ডের শেষ তিনদিন কাটল রূপকথার মতো। প্রায় ৩৩ বছরে বয়সে টেস্ট অভিষেক, এরপর আশ্চর্যজনকভাবে সুযোগ পেয়ে গেলেন শুরুর একাদশে। প্রথম ইনিংসে পেয়েছিলেন মাত্র ১ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই রাগ ঝাড়লেন। ৭ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়ে ভস্মীভূত করলেন ইংলিশ ব্যাটারদের।

শুধু কি প্রতিপক্ষকে পুড়িয়েছেন? নিজেও জায়গা করে নিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়। ভেঙেছেন ১৩৫ বছরের রেকর্ড। অভিষেক ম্যাচে এত কম রানে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি নেই আর কারও। যা পূর্ণ করতে বল্যান্ডের লেগেছে মাত্র ১৯ বল (টেস্ট ইতিহাসের সর্বনিম্ন)। 

তবে ব্যক্তিগত অর্জন ছাপিয়ে অনন্য এক কীর্তি গড়েছেন এই পেসার। অস্ট্রেলিয়ার মাত্র দ্বিতীয় আদিবাসী ক্রিকেটার (ছেলেদের ক্রিকেটের) হিসেবে টেস্ট খেললেন বল্যান্ড। শুধু খেলেননি। জিতেছেন ম্যাচসেরা পুরস্কার। বক্সিং ডে টেস্টের জন্য যে পুরস্কারের আলাদা করে নাম রয়েছে। 

১৮৬৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী দল নিয়ে ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিল। সেবার অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান জনি মাল্লা। খেলাধুলার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম তারকাকে সম্মান জানিয়ে বক্সিং ডে টেস্টের ম্যাচসেরা পুরস্কারের নাম রাখা হয় 'জনি মুলাঘ মেডেল'।

গত বছর থেকে নামকরণ করা হয় এই পুরস্কারের। সেই পুরস্কার এবার গলায় পরলেন এক আদিবাসী ক্রিকেটারই। গত বছর প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন অজিঙ্কা রাহানে। অস্ট্রেলিয়া সফরে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে জিতেছিলেন এই পুরস্কার।

উল্লেখ্য, ১৮৬৮ সালে আদি অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক হিসেবে ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন জনি মুল্লাঘ। যে সফর অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়াজগতে ইতিহাস রচনা করেছিল। কারণ সেই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের কোনও গোষ্ঠী সংঘবদ্ধভাবে বিদেশে খেলতে গিয়েছিল। 

৬ মাসে আদি অস্ট্রেলিয়া দল ৪৭টি ম্যাচ খেলেছিল। এই ম্যাচগুলোর ১৪টি জিতেছিল, হেরেছিল ১৪টিতে। ১৯টি অমীমাংসিত ছিল। ৪৫ ম্যাচে ১ হাজার ৬৯৮ রান করেছিলেন মুলাঘ। উইকেট নিয়েছিলেন ২৪৫টি। এছাড়া উইকেটরক্ষকের ভূমিকা পালন করে স্ট্যাম্পিং করেছিলেন চারটি।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন