আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

রাজশাহীর বাগমারায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিলিছ

বিক্ষোভ মিছিল আর প্রতিবাদে রাজশাহীর বাগমারায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আসন্ন ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ১৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন। উক্ত নির্বাচন ঘিরে এরই মধ্যে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনী প্রচারণার কাজে প্রতিটি ইউনিয়নে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী নির্বাচনী অফিস। 

এদিকে কোন নোটিশ ছাড়াই গত মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) নির্বাচনী অফিস উচ্ছেদে নামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক সুফিয়ান। 

এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ান এর নেতৃত্বে উপজেলার গোবিন্দপাড়া, নরদাশ ও বাসুপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকা প্রতিকের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর শেষে উল্লাস প্রকাশ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননা স্বাধীনতার প্রতিক নৌকা ভেঙ্গে পদদলিত করায় আওয়ামী লীগ কর্মীদের মাঝে চরম উত্তেজনা ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

ইউএিনও’র এমন কান্ডে বুধবার বিকেল ৩ টার দিকে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগের পক্ষ থেকে হাতে ঝাড়ু নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি ভবানীগঞ্জ বাজারের প্রধান রাস্তা সহ উপজেলা পরিষদ চত্বর প্রদক্ষিণ করে নিউ মার্কেটের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে বাংলাদেশ মহিলা লীগ, উপজেলা শাখার সভাপতি কহিনুর বানুর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে বক্তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছেন। সেই সাথে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবি পদদলিত করা এবং নৌকা ভেঙ্গে ফেলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক সুফিয়ানের প্রত্যাহার দাবী করা হয়েছে প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে। 

এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মতিউর রহমান টুকু, মরিয়ম বেগম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবী, মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম, যুবমহিলা লীগের সভাপতি শাহিনুর খাতুন প্রমুখ। 

এ সময় আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এরই মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ লিপিও দিয়েছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করে নির্বাচনী অফিস করা হয়ে থাকে তাহলে প্রার্থীদেরকে মৌখিক অথবা লিখিত নোটিশের মাধ্যমে জানানো উচিৎ ছিলো। অন্যথায় সন্ত্রাসী কায়দা অবলম্বন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ান বাগমারার ১৬টি ইউনিয়নের নির্বাচন অন্যখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন