আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

ফুলবাড়ীতে লীলা কীর্ত্তণে হাজারও ভক্তের ঢলে মূখরিত

বিশ্ব শান্তি কল্পে, ১২তম আন্তঃ উপজেলা নামযজ্ঞ মহোৎসব উদযাপন পর্ষদের আয়োজনে চারদিন ব্যাপী এক বিশাল মহানাম যজ্ঞ মহোৎসব ও অপ্রাকৃত লীলা কীর্ত্তনের আয়োজন করা হয়েছে। 
উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের হিন্দু সম্প্রদায়রা  আন্তঃ উপজেলা নামযজ্ঞ মহোৎসব উদযাপন পর্ষদ (সংগঠনটি) গত ১২ বছর ধরে এ অনুষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে বলে জানান সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চন্দ্র সরকার। 

সোমবার (১লা মার্চ ) ভোর ৬ টা থেকে অপ্রাকৃত লীলা কীর্ত্তন শুরু হয়। এই অপ্রাকৃত লীলা কীর্ত্তন মঙ্গলবার ভোর ৬ টায় সমাপ্তি ঘটবে। জাঁকজঁমক পূর্ণ ভাবে অপ্রাকৃত লীলা শিল্পীরা লীলা কীর্ত্তন পরিবেশন করে অনুষ্ঠানে আসা হাজার হাজার ভক্তের মন জাগিয়ে তুললেন এবং ভক্তের মনকে মাতিয়ে তুলছেন।

মঞ্চে এই তিন গুণী লীলা শিল্পী নিজেই কাদঁলেন এবং হাজার ভক্তদেরকেও কাদাঁলেন বগুড়া থেকে আগত সারা জাগানো  লীলা শিল্পী সুজাতা মোহন্ত, সাতক্ষিরা থেকে ধর্মদাস সরকার (পাপ্পু), চাপাই নবাবগঞ্জ নরোত্তম দাস (বাবলু)। 

জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ী থেকে আসা মাধবী রানী রায় অনেকদিন পর এই অনুষ্ঠানে তার মা আরতী বালা রায় (৭৫)কে দেখা পাওয়ায় কান্নায় ভেঙ্গে পরেন এবং তার বৃদ্ধ মাকে জড়িয়ে ধরেন। যেন এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শুধু মাধবী রানী নয় এই অনুষ্ঠানে অনেক ভক্তই তার আপনদের দেখা পান।  

এ ব্যাপরে আন্তঃ উপজেলা নাম যজ্ঞ মহোৎসব উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চন্দ্র সরকার জানান, দুর-দুরান্তের ভক্তরা শান্তিপূর্ণ ভাবে মহানাম যজ্ঞ মহোৎসব ও অপ্রাকৃত লীলা কীর্তন উপভোগ করছে। অনুষ্ঠানে থানা পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের টহল অব্যাহত আছে। পাশাপাশি কমিটির লোকজন সজাগ আছে। এছাড়াও কোন ধরনের অনাকাংখিত ঘটনা এড়াতে সিসি ক্যামেরার আওতায় রাখা হয়েছে।

রাইদুল/অনিল চন্দ্র রায়

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন