আর্কাইভ থেকে লাইফস্টাইল

স্বামীর যে গুণে হাবুডুবু খায় স্ত্রীর মন...

মহিলাদের মন পড়া খুব কঠিন কাজ। তাই তো যুগের পর যুগ ধরে তাত্বিকেরা মহিলাদের মনের খারাপ-ভালো নিয়ে চর্চারত। তবে এতেও লাভের লাভ খুব একটা হয়নি। এত প্রাণপন চেষ্টার বেশিরভাগটাই গিয়েছে বিফলে।

তবে সব চেষ্টা তো আর বিফলে যেতে পারে না। তাই যুগ যুগ ধরে মহিলাদের মন বোঝার চেষ্টার মাধ্যমে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই সামনে এসেছে। আর সেই সকল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলেই দাম্পত্য জীবনে আর কোনও জটিলতা থাকে না।

মহিলারা মন প্রাণ দিয়ে স্বামীর ভালোবাসায় ভেসে যেতে চান। আসুন সেই দিকেই তাহলে নজর রাখা যাক। হলফ করে বলতে পারি, সময় থাকতে এই গুণগুলি আত্মস্থ করতে পারলে আজীবন সুখে সংসার করতে পারবেন।

১. ভালোবাসা

বিবাহিত জীবনে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভালোবাসা। পরস্পরের প্রতি টানই সম্পর্ককে শেষ দিন পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখে। আর জানলে অবাক হয়ে যাবেন, পুরুষের মধ্যে এই গুণেরই খোঁজ করতে থাকেন নারীরা। বিশেষত, বিয়ের পরও যেই পুরুষ আগের মতোই স্ত্রীকে ভালোবাসার বন্ধনীতে বেঁধে রাখেন, তাদের মহিলারা খুবই পছন্দ করেন। তাই বিয়ের বয়স যতই বাড়ুক না কেন, স্ত্রীকে সমানভাবে ভালোবেসে যেতে হবে। তার কাছে প্রতিদিন নিয়ম করে প্রণয়ের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।

২. ‘কেয়ারিং হাজবেন্ড’​

মহিলারা স্বামীর মধ্যেও নিজের বাবার প্রতিচ্ছবি খোঁজার চেষ্টা করেন। তারা বিশ্বাস করেন, বাবার মতো করেই স্বামীও সব সমস্যায় তার পাশে থাকবে এবং সব বিষয়ে নিজের থেকেও বেশি তাকে গুরুত্ব দেবে। অর্থাৎ এক কথায় ‘কেয়ারিং’ স্বামীর খোঁজ করতে থাকেন তারা। এই কাজটুকু করতে পারলেই দেখবেন তিনি আপনার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন।

​৩. উপহারই শেষ কথা​

উপহার পেতে সকলেই পছন্দ করেন। আপনার স্ত্রীও এর অন্যথা নন নিশ্চয়ই। এমনকী জানলে অবাক হয়ে যাবেন, স্বামীর থেকে কোনও উপহার পেলে মহিলারা অত্যন্ত খুশি হন। তারা ধরে নেন যে স্বামী তার কথা সবসময় চিন্তা করছে। আর সেই কারণেই দিচ্ছে গিফট। আর সবথেকে ভালো কথা হল, আপনি কত দামি গিফট কিনে দিচ্ছেন, এই বিষয়টা নারীর কাছে বিবেচ্য নয়। বরং উপহার পাওয়াটাই তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিজের সামর্থ মতো স্ত্রীকে গিফট কিনে দিতে ভুলবেন না কিন্তু।

​৪. সম্মান করতে পিছপা হন না​

একটা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বাস করি আমরা। এই সমাজের সর্বময় কর্তা হিসাবে পুরুষকে স্থান দেয়া হয়েছে। তাই এখনও সমাজের একটা বড় অংশের কাছে নারীর গুরুত্ব খুবই কম। আর এই নেতিবাচক পরিস্থিতিতে আপনি স্ত্রীকে যদি একটু সম্মান করে চলেন, তাহলে তো তিনি আপনাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দেবেনই। তাই স্ত্রীকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দিতে ভুলবেন না।

৫. সব সময় হাসিখুশি

সবার জীবনেই দুঃখ রয়েছে। তবে এরপরও তো হাসতে হবে। হেসেই কাটাতে হবে জীবন। তাহলেই যে কষ্ট থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তা খুঁজে পাওয়া যায়। নইলে তো হতাশার অন্ধকার সহজেই গ্রাস করে নেবে। তাই মহিলারা এমন ধরনের পুরুষকে অত্যন্ত পছন্দ করেন, যারা হাসিখুশি হন। কারণ তারা জানেন যে জীবনে যত কষ্টই আসুক না কেন, এই মানুষটি ঠিক তাকে হাসিখুশি রাখবেনই। তাই এই গুণটা যত দ্রুত সম্ভব আয়ত্ত্ব করার চেষ্টা করুন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন