আর্কাইভ থেকে অপরাধ

ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে রাশিদাকে ধর্ষণ করে ফারুক-রাব্বি

স্থানীয় স্পিনিং মিলের কর্মী রাশিদা বেগম হত্যায় জড়িতদের থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। গেলো শনিবার (১জানুয়ারি)বাড়ির অদূরে দক্ষিণ ভাংনাহাটি এলাকার তালুকদারের ভিটা নামের গজারীবনের লাকড়ি কুড়াতে যান রাশিদা। এসময় পেছনে থেকে তাকে জাপটে ধরেন অভিযুক্ত ওমর ফারুক ও রাব্বি। এসময় রাশিদা চিৎকার দিলে তার গলায় থাকা ওড়না দিয়ে তার মুখ বেঁধে ফারুক ও রাব্বি ধর্ষণ করেন। রাশিদার সঙ্গে ফারুক একই করাখানায় চাকরি করতেন। তাই ঘটনা ফাঁস হওয়ার ভয়ে তাকে হত্যা করা হয়। আসামিরা জবানবন্দি এ তথ্য জানিয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আমজাদ শেখ জানান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, স্থানীয়রা পরদিন জঙ্গলে লাকড়ি কুড়াতে গিয়ে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

শ্রীপুর পৌর এলাকার মাধখলা গ্রামে স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। রিকশাচালক স্বামী শহিদুল ও রাশিদার সামান্য আয়ে কোনোমতে চলত তাদের সংসার। দুই ছেলে নিয়ে রাশিদা-শহিদুল দম্পতির ছিল সুখের সংসার। গজারীবনের লাকড়ি কুড়াতে গিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন তিনি।

ঘটনার দুই দিনের মধ্যে এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ওমর ফারুক অপরজন রাব্বি।  

এসআই আরও জানান, হত্যার পর রাশিদার স্বর্ণের নাকফুল ও গলায় থাকা রুপার চেইন ওমর ফারুক স্থানীয় সাঈদ নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য যান।

তারা হত্যার দায় স্বীকার করে ওমর ফারুক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন