আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

চেষ্টা করেও ম্যাচ খেলতে পারলেন না মুশি

বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে সিরিয়াস মানুষটা কে? যারা টাইগার ক্রিকেটের খবর রাখেন তারা এক সেকেন্ডও সময় নিবেন না এই প্রশ্নের উত্তর দিতে। তিনি মুশফিকুর রহিম। দেশের ক্রিকেটের মিস্টার ডিপেন্ডেবল।    

ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের আগের দিন থেকেই কিছুটা আভাস ছিলো। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ততোই প্রকাশ পেয়েছে বিষয়টি। ম্যাচ দিন সকালে আজ (রোববার) চূড়ান্ত প্রকাশ পেলো বিষয়টি। কুঁচকির চোটের কারণে মূল একাদশ থেকে ছিটকে যেতে হলো মুশফিককে। যদিও মাঠে নামার প্রবল চেষ্টা তিনি করেছেন বলে জানালেন বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। তবে উতরাতে পারেননি ফিটনেস পরীক্ষায়।

সিরিজ জয়ের অভিযানে মাঠে নামা বাংলাদেশ বড় ধাক্কা খায় দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে রাখতে হয় একাদশের বাইরে।

প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে গিবসন জানালেন মুশফিকের না খেলার প্রেক্ষাপট। “ওর কুঁচকিতে টান লাগে গতকাল। সে আমাদেরকে জানায়, কিছুটা ভুগছে সে। আজকে সে ফিটনেস টেস্টে মরিয়াভাবে চেষ্টা করেছে উতরে যেতে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে পারেনি।”

দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল এবার সফরেই যাননি। তাদের রেখেই তাই দল পরিকল্পনা সাজায় আগে থেকেই। আগের টেস্টে চোট পাওয়া মাহমুদুল হাসান জয়ের না খেলাও নিশ্চিত ছিল বেশ আগেই। তার বিকল্প ভাবা নিয়েও পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। তবে মুশফিকের শূন্যতা আচমকা হওয়ায় দলের ভাবনা ও পরিকল্পনা গোলমেলে হওয়ার কথা অনেকটাই।

গিবসন অবশ্য বললেন, প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো সব শঙ্কা-সম্ভাবনায় মাথায় রেখেই পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন।

“আমার মনে হয় না, এটায় (মুশফিকের হঠাৎ ছিটকে যাওয়া) আমাদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটেছে। অবশ্যই আমাদের জন্য এটা বিশাল ক্ষতি, কারণ সে দুর্দান্ত খেলায়াড়। কিন্তু কোচ নিশ্চিত করেছেন সবাই যেন সজাগ থাকে এবং সবাইকে জানিয়ে রেখেছে যে, মুশি ফিট হতে পারলে সে খেলবে, না হলে অন্য কে খেলবে এবং কোথায় ব্যাট করবে। সেদিক থেকে তাই যোগাযোগ ছিল দারুণ। আমাদের খারাপ লেগেছে, এই তো।”

হাসিব মোহাম্মদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন