আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

ডাকাতদলের ‘হেডকোয়ার্টার’ ঢাকায়, বিভিন্ন জেলায় ‘ব্রাঞ্চ’: র‍্যাব

ডাকাত দলের সদর দপ্তর ঢাকায়, এই দলের বিভিন্ন জেলায় রয়েছে ব্রাঞ্চ বা শাখা দল। জেলার দল বিভিন্ন জেলার বাজার ও বাড়ি রেকি করে ঢাকার দলকে জানায়। এরপর সুবিধা অনুযায়ী ঢাকার সদর দপ্তর থেকে ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়া হয়। এই দল বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গিয়ে টার্গেট অনুযায়ী ডাকাতি করে আসে। ডাকাত দলের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ২০টি করে মামলা রয়েছে। এই ডাকাত দলের আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ (র‍্যাব)।

গতকাল সোমবার (৩ জুলাই) রাজধানীর শ্যামপুর, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, শ্যামলী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ও মাদারীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ মঙ্গলবার (৪ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১০-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ফরিদ উদ্দিন এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, গেলো ২৭ মে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানাধীন বাখন্ডা বাজারে গিয়ে লুট করেন এই ডাকাতেরা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ডাকাত দলটির নেতা ইসমাইল সর্দার লিটন। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী। তিনি একটি গ্রুপ নিয়ে ঢাকার শ্যামলীতে থাকেন। দলটির নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও বরিশালে উপদল বা শাখা রয়েছে। উপদলগুলো বিভিন্ন জেলার পাড়া-মহল্লার বাজার ও বাড়ি রেকি করে। এরপর ঢাকার দলটির সঙ্গে সমন্বয় করে ডাকাতি করে।

গ্রেপ্তাররা হলেন ডাকাতের দলনেতা বা সরদার মো. ইসমাইল সরদার লিটন (৩৮), উপনেতা মো. সুমন মাতুব্বর (৪২), মো. মামুন সরদার (৩০), মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৩), মো. হারুন বেপারী (৫৬), জলিল ওরফে সম্পদ বেপারী (৬১), শেখ জাহাঙ্গীর (৫২) ও মো. রুবেল মোল্লা (৩৪)।

এদের মধ্যে দলনেতা লিটনের বিরুদ্ধে তিনটি এবং উপনেতা সুমনের বিরুদ্ধে ২০টি ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। বাকিদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দুটি-একটি করে মামলা রয়েছে। সারা দেশে থাকা দলটির ৩৫ জন সদস্যের নাম পেয়েছে র‍্যাব। এ ছাড়া ডাকাতির সময় বাকিদের ভাড়াটে হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

চক্রটি বাসা-বাড়ি ও বাজার-মার্কেট ছাড়াও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, বরিশাল-ফরিদপুর, মাওয়া-গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন আন্তজেলা মহাসড়কেও ডাকাতি করে।

ফরিদ উদ্দিন বলেন, ডাকাত দলের সদস্যরা লোক দেখানো ছোটখাটো ব্যবসা করেন। কিন্তু তাদের প্রধান পেশা ও নেশা ডাকাতি। দিনে ঘুমান রাতে ডাকাতির জন্য বের হন।

র‍্যাব জানায়, ফরিদপুরে ডাকাতির ঘটনায় এই ডাকাত দলটির ১৫ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে তারা। এই ঘটনায় তারা ৫০ লাখ টাকার মালামাল নিয়েছে। বাজারটির পাঁচ পাহারাদারকে বেঁধে বোমা ফাটিয়ে ডাকাতি করেন। এ ঘটনায় ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। তাদের ওই থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন ফরিদ উদ্দিন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন