আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

করোনা সংক্রমণে রেড জোনে ঢাকা ও রাঙামাটি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

করোনা সংক্রমণে ঢাকা ও রাঙামাটি জেলাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে চিহ্নিত করা হয়েছে দেশের ছয়টি জেলাকে। সংক্রমণের গ্রিন জোনে রয়েছে ৫৪টি জেলা। 

গত এক সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তথ্য মতে, রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের হার ১২.৯০ শতাংশ। রাঙ্গামাটিতে করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ।

ইয়োলো জোন বা মধ্যম ঝুঁকি চিহ্নিত জেলাগুলো হলো  যশোর, রাজশাহী, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নাটোর, রংপুর।এসব জেলায় সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশ। অন্যদিকে পঞ্চগড় ও বান্দরবান জেলায় নমুনা পরীক্ষার হার খুবই কম হয়েছে।

করোনার প্রাদুর্ভাব কমে আসার পর সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছিলেন সরকার। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটির নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে দেশে আবার বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে সরকার চলাচলের জন্য কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছেন, যা আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে। বিধিনিষেধ কার্যকরের আগের দিন দুই জেলাকে রেড জোন ও ছয় জেলা হলুদ জোনে আছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

সরকার থেকে জারিকৃত বিধিনিষেধগুলো হলো- দোকান, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে। অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার আবশ্যক। রেস্তোরায় খাবার খেতে এবং আবাসিক হোটেলে থাকতে হলে টিকা সনদ দেখাতে হবে। ১২ বছরের ঊর্ধ্বের সব শিক্ষার্থীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারিত তারিখের পরে টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া। 

স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরসমূহে স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ট্রেন, বাস এবং লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নিতে হবে। সব ধরনের যানের চালক ও সহকারীদের টিকা সনদ থাকা সঙ্গ রাখতে হবে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীসহ সবাইকে বাধ্যতামূলক করোনা টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং মাস্ক পরার বিষয়ে দেশের সব মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামগণের সংশ্লিষ্টদের সচেতন করতে হবে, করোনার টিকা এবং বুস্টার ডোজ গ্রহণ ত্বরান্বিত করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রচার এবং উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। উন্মুক্ত স্থানে সর্বপ্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ বন্ধ রাখতে হবে।

অনন্যা চৈতী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন