আর্কাইভ থেকে উত্তর আমেরিকা

মাঝ আকাশে বোমা মেরে বিমান উড়িয়ে দেয়ার হুমকি

মাঝ আকাশে বিমানের মধ্যেই বোমাতঙ্ক ছড়াল এক ব্যক্তি। সাফ জানিয়ে দিলো, তার নির্দেশ মতো বিমানের যাত্রাপথ পালটে দিতে হবে। নয়তো বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া হবে ১৭৭ যাত্রীবাহী বিমানটি। ভয় পেয়ে অন্য বিমানবন্দরেই উড়ান নামাতে বাধ্য হন পাইলট। তবে বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গেই আটক করা হয় ওই ব্যক্তিকে। তবে তল্লাশি চালিয়েও বিমানবন্দর থেকে কোনও বোমা উদ্ধার হয়নি। আটলান্টা থেকে সিয়াটলগামী বিমানে এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তবে শেষ পর্যন্ত কোনও বিপদ হয়নি বলেই খবর।

আটলান্টা থেকে যাত্রা শুরু করে আলাস্কা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। ১৭৭ যাত্রী ও ছয়জন বিমানকর্মীকে নিয়ে আকাশে ওড়ার খানিকক্ষণ পরেই এক বিমানকর্মীর হাতে চিরকুট ধরিয়ে দেন ব্র্যান্ডন স্কট নামে এক ব্যক্তি। সেখানে লেখা ছিল, ‘এই বিমানে বোমা রাখা আছে। আমি যা বলব সেই অনুযায়ী কাজ না হলে সবকটা বোম একসঙ্গে ফাটিয়ে দেব। তাই পাইলটের কাছে এই চিরকুট পাঠিয়ে দাও। কারণ বিমানের যাত্রীদের নিরপত্তার দায়িত্ব রয়েছে তার হাতেই। আমার কথা শুনলেই সকলে প্রাণে বাঁচবে।’

এই চিরকুটের কথা প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিমানের যাত্রীরা। তবে যাত্রীদের সামাল দেন পাইলট। ব্র্যান্ডনের কথা মেনেই ঘুরিয়ে দেয়া হয় বিমানটি। সিয়াটলের বদলে স্পোকোন বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয় বিমানটিকে। আগে থেকেই সতর্ক করে রাখা হয়েছিল স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে। বিমান নামতেই আটক করা হয় ব্র্যান্ডনকে। সঙ্গে সঙ্গে তল্লাশি শুরু হয় বিমানে। তবে সেখান থেকে বোমা পাওয়া যায়নি।

বিমানবন্দর থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় ব্র্যান্ডনকে। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, ভুয়ো তথ্য দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। দোষী প্রমাণিত হলে তাকে আড়াই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেই সঙ্গে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডও পেতে পারে সে। তবে স্থানীয় পুলিশের জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে, সিনালোয়া কারটেল নামে একটি গোষ্ঠীর নিশানায় ছিল সে। সিয়াটল পৌঁছলেই তাকে খুন করা হবে বলে হুমকি দিয়েছিল ওই গোষ্ঠী। প্রাণে বাঁচতেই ভুয়ো তথ্য ছড়িয়েছিলে তিনি। আপাতত এই ঘটনার তদন্ত চলছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন