আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি আরও জোরদার হচ্ছে

অনুসন্ধান, তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি আরও জোরদার হবে। দুর্নীতির তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাচাই করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন এসব কথা জানান।
 
দুদক সচিব বলেন, সব সেক্টরেই দুর্নীতি প্রতিরোধে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। আমাদের এনফোর্সমেন্ট টিম ২৪ ঘণ্টাই রেডি থাকে। যেকোনো তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাৎক্ষণিক তথ্য যাচাইয়ের চেষ্টা করি এবং দুর্নীতি শংকা থাকলে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। অন্যান্য খাতের মতো সেবা খাতেও আমাদের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাচাই করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুদকের হটলাইনে গত দুই বছরে লাখের ওপরে কল এসেছে উল্লেখ দুদক সচিব বলেন, আমাদের টোল ফ্রি নাম্বার হটলাইন-১০৬। এই নাম্বারে গত ২০২০ ও ২০২১ সালে ১ লাখ ১৩ হাজার ৭৭৩টি কল এসেছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৪৪৯টি অভিযোগ আমলে নিয়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। কেউ দুর্নীতি করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সচিব জানান, ২০২০ ও ২০২১ সালে দুদক ১ হাজার ৪৫৪টি পত্র বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ও দফতরে পাঠিয়েছে। তথ্য সরবরাহের জন্য তাদের সময় দিতে হবে। কমিশন সেসব কার্যক্রম প্রতিনিয়ত মনিটর করছে। আমরা চিঠি দিয়েই চুপ করে বসে রয়েছি বিষয়টি এমন নয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর কাছে যেসব তথ্য উপাত্ত চাওয়া হয়েছে সেগুলো দুদকে জমা হয়েছে। কমিশনের কর্মকর্তারা সেসব কাগজপত্র পরীক্ষা করছেন।

 

 এসআই/  

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন