আর্কাইভ থেকে শিশু স্বাস্থ্য

দুই যমজ শিশুকে বাঁচাতে পথে পথে ঘুরছেন বাবা-মা

জোড়া লাগানো দুই যমজ শিশুকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সেলিম-সাথী দম্পতি। ২১ মাস বয়সী সুমাইয়া ও খাদিজা নামের এই দুই সন্তানের চিকিৎসা খরচ জোগাড় করতে পথে পথে ঘুরছেন বাবা-মা।

২০২১ সালের অক্টোর মাসে ঢাকার সাভারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে সুমাইয়া ও খাদিজার জন্ম। তাদের হাত, পা, মুখ ও মাথা আলাদা। তবে কোমর একত্রে জোড়া লাগানো। এই অবস্থায় বেড়ে উঠছে তারা। সন্তান দুটোর দেখভালসহ চিকিৎসা ও তাদের আলাদা করতে যে খরচ হবে তা মেটানোর সামর্থ্য নেই বাবা মো. সেলিমের। রাজধানীর রামপুরায় একটি ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো তার। যমজ সন্তানদের চিকিৎসা করাতে গিয়ে ছাড়তে হয় দোকানটিও।

যমজ সন্তানের বাবা মো. সেলিম বলেন, ডেলিভারির আগে আল্ট্রাসনোগ্রামে বাচ্চা যমজ জানতে পারলেও জোড়া লাগানোর বিষয়টি জানা যায়নি। জন্মের পর দেখা যায় তাদের শরীর জোড়া লাগানো। সন্তান জন্মের পর থেকে ২১ মাসে তাদের পেছনে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ করে তিনি এখন নিঃস্ব। স্ত্রীর গহনা বিক্রি করে এবং ঋণ নিয়ে ছোট দুটি অপারেশন করেছেন। তার আর সন্তানের চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই। শিশু দুটিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীসহ বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ করছেন তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য।

জোড়া লাগানো দুই সন্তানের মা সাথী আক্তার বলেন, সুমাইয়া ও খাদিজার প্রস্রাবের রাস্তা আলাদা থাকলেও পায়খানার রাস্তা একসাথে ছিলো। অপারেশন করে পেটে পায়খানার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। দুজনের শরীর আলাদা করতে চিকিৎসার ব্যয় বহন করা তাদের মতো দরিদ্র পরিবারের নেই। বিত্তবানরা যেন তাদের যমজ সন্তানদের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসেন।

তাদের গ্রামের বাড়ি ঢাকা জেলার দোহার উপজেলায়। নদীভাঙনে ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যাওয়ায় মো. সেলিম যমজ দুই সন্তানসহ চার মেয়েকে নিয়ে ঢাকার সাভারে থাকেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন