আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

তুলাবোঝাই ট্রাকে কীটনাশক, ৭ কোটি টাকার চালান আটক

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা তুলাবোঝাই ট্রাকে কীটনাশকসহ অন্যান্য চোরাই পণ্য আমদানির অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে সাত কোটি টাকা মূল্যের একটি তুলার চালান জব্দ করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।

রোববার রাতে পণ্যের চালানটি আটক করা হয় বন্দরের ভারতীয় ট্রাক টার্মিনাল থেকে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস লিমিটেড ভারত থেকে তুলা আমদানি করে; যার কাস্টমস মেনিফেস্ট নং-২২৯২/১৭। পণ্যের চালানটি ১৭টি ট্রাকে করে আমদানি করা হয়। যার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কলকাতার রোটাস ড্রেসইসফাস কোম্পানি লিমিটেড। পণ্যের চালানটি বন্দরে প্রবেশের পর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কমিশনার আ. আজিজের নির্দেশে ডাব্লু বি ৫১-৫৪৩৮ নম্বরের ভারতীয় ট্রাকটি আটক করেন যুগ্ম কমিশনার-১ আব্দুর রশিদ মিয়া।

পরে পণ্যের চালানটি আইআরএমের ডেপুটি কমিশনার অনুপম চাকমার নেতৃত্বে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে ঘোষণাবহির্ভূত কীটনাশক, তামাক ও সবজির বীজ পাওয়া যায়।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমনা সজন জানান, একটি বহিরাগত চোরাচালানি চক্র ভারতীয় তুলার ট্রাকে এসব পণ্য তুলে দিয়েছে। মালের মধ্যে মিথ্যা ঘোষণার কোনো পণ্য পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেছে ভারতীয় ট্রাকের মধ্যে। এ দায়দায়িত্ব কেবল ভারতীয় ট্রাকচালককেই নিতে হবে। এ ঘটনায় আমদানিকারক ও সিঅ্যঅন্ডএফ এজেন্ট কোনোভাবেই জড়িত নয়।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বৈধ আমদানি কারকদের ক্ষেত্রে কাস্টমস সবসময় ট্রেড ফেসিলিটিশন নীতি অবলম্বন করে আসছে। কিন্তু অবৈধ আমদানিকারকদের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে কাজ করা হচ্ছে। কাস্টমস এ ঘটনায় একটি বিভাগীয় মামলা করেছে। দি কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং রুলস ২০০২ অনুযায়ী লাইসেন্সটি সাময়িক বাতিল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

মুক্তা মাহমুদ 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন