আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

তৈমুর হারলেও টানা চতুর্থবার জিতলেন তার ভাই

একবার নয় দুইবার নয় টানা চারবার নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর পদে অব্যাহত আছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে হেরে যাওয়া স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকার (খোরশেদ)। 

ভাই না পারলেও নিজের জায়গা ঠিকই ধরে রেখেছেন এই কাউন্সিলর। গতকাল রোববার (১৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হওয়া নাসিক নির্বাচনে ১৩নং ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন বিএনপির খোরশেদ।  এ নিয়ে চারবার কমিশনার ও কাউন্সিলর হলেন তিনি। 

২০১১ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর পদে জয় পেয়েছিলেন। এবারও জয় পাওয়ায় কাউন্সিলর পদে হ্যাটট্রিক জয় হলো  খোরশেদের। এর আগে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভায়ও ২০০৩ সালে কমিশনার পদে জয়ী হয়েছিলন তৈমুরের ছোটভাই। ওই সময় থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

খোরশেদ করোনা চলাকালে নিজ হাতে মৃতদের দাফন-কাফন করে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন।  একজন করোনাযোদ্ধা হিসেবে স্থানীয়দের পাশে দাঁড়ান।

নাসিক নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত ১১ কাউন্সিলর প্রার্থী জয় পেয়েছেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগসমর্থিত ১২ জন, জাতীয় পার্টির দুই জন এবং অন্যান্য দুই প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনকে উৎসবমুখর করে তোলার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিলো ২৭টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর টানা প্রচারণায় শীতলক্ষ্যার দুই পাড়ে ছিল ভোটের আমেজ। রোববার (১৬ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণের পর ফলাফলে জয়ী হয়েছেন ৩৬ জন। 

সন্ধ্যায় ভোট গণনা শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ২৭ জন কাউন্সিলর ও ৯ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের নাম ঘোষণা করা হয়।

তাসনিয়া রহমান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন