স্বামীর হাতেই মৃত্যু অভিনেত্রী শিমুর
চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যা করার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন তার স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল। শিমুর মরদেহ গুম করতে সহায়তা করেছেন তার স্বামীর বন্ধু ফরহাদ।
আজ মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো মারুফ হোসেন সরদার।
তিনি বলেন, দাম্পত্য কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
গতকাল সকালে কেরানীগঞ্জ আলীপুর ব্রিজের পাশ থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় অভিনেত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দিনগত রাতে সন্দেহভাজন হিসেবে একটি গাড়িসহ তাদের আটক করা হয়।
অভিনেত্রী শিমুর বোন ফাতেমা জানান, গত রোববার সকাল ১০টায় বাসা থেকে বের হন শিমু। সন্ধ্যা ৭টায় শিমুর এক বন্ধু শিমুকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানায়। পরে রাত ১১টায় কলাবাগান থানায় যায় জিডি করা হয়।
সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতালে মরদেহ শনাক্ত করেন শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন। এরপর শিমুর স্বামী নোবেলকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন শহিদুল ইসলাম খোকন। ওই মামলা নোবেলের বন্ধু ফরহাদকেও আসামি করা হয়েছে।
তাসনিয়া রহমান