২৩ জানুয়ারি সংসদে উঠছে নির্বাচন কমিশন আইন
জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনেই মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন পাওয়া নির্বাচন কমিশন আইন উপস্থাপন করা হবে। আগামী ২৩ জানুয়ারি (রোববার) আইনটি পেশ করা হবে। এ অধিবেশনেই এটি পাস করার চেষ্টা করা হবে। জানালেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।।
আনিসুল হক বলেন, এই আইন অনুযায়ীই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে।
আইনমন্ত্রী বললেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ। এই সময়ের মধ্যে আলোচনা করার সুযোগ কম। তবে করোনা পরিস্থিতির ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করছে।
এর আগে, গেলো সোমবার মন্ত্রিসভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।
আইনে বলা হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বয়স ৫০ বছর হতে হবে। সরকারি আধা-সরকারি ও বিচার বিভাগের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সিইসি ও কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। ছয় সদস্যের এই সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে থাকবেন প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি।
‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ দিতে একটা সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি গঠন করা হবে।
ছয় সদস্যের এই সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে থাকবেন প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি।
এ ছাড়া সদস্য হিসেবে থাকবেন হাইকোর্টের একজন বিচারপতি, মহাহিসাবনিরীক্ষক, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান ও রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুজন বিশিষ্ট ব্যক্তি।
কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটি যোগ্য ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করবে। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেবেন।
এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ইঙ্গিত দেন এ অধিবেশনেই পাস করার।