আর্কাইভ থেকে লাইফস্টাইল

গ্লুকোমায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি যাদের

দৃষ্টিশক্তি হারানোর অন্যতম কারণ গ্লুকোমা। যে কোনও বয়সেই এই রোগ হানা দিতে পারে চোখে। চিকিৎসকেরা এই রোগকে ‘সাইলেন্ট থিফ’-ও বলে থাকেন। চোখের মধ্যে যে অংশ দিয়ে তরল চলাচল করে, সেই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে তা জমে চোখের উপর বাড়তি চাপ ফেলে। বিশেষ করে অপটিক স্নায়ুতে। সেই চাপ বাড়তে থাকলে ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করে।

পরবর্তী কালে এই সমস্যা থেকেই বাড়ে অন্ধত্বের ঝুঁকি। প্রাথমিক ভাবে ক্ষতিটা শুরু হয় চোখের পরিধির চারপাশ থেকে, তাই গ্লুকোমায় আক্রান্ত রোগীদের ‘সাইড ভিশন’ নষ্ট হতে থাকে। চোখের ভিতর জল তৈরি হতে থাকে, অথচ বেরোনোর জায়গা পায় না— এর ফলেই তা দুর্বল জায়গাগুলিতে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। আর সেই থেকে সমস্যা বাড়ে।

গ্লুকোমার মতো অসুখ সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়। এই সমস্যা ধরা পড়ার পরে চিকিৎসা শুরু হলেও ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা থেকেই যায়। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে এই রোগের সঙ্গে যুঝে ওঠা যায়। গ্লুকোমা টেস্ট গ্লুকোমার ঝুঁকি বেশি যাদের- কারও ডায়াবিটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে গ্লুকোমার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।

যারা নিয়মিত স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খান, তাদেরও গ্লুকোমায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

যারা ইনহেলার ব্যবহার করেন, তাদেরও ঝুঁকি থাকে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার।

চিকিৎসক একবার পাওয়ার সেট করে দেয়ার পরে সাধারণত আর এক-দেড় বছরের মধ্যে তা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে যদি মাস কয়েকের মধ্যে বার বার পাওয়ার বেড়ে যায়, তা কিন্তু গ্লুকোমায় আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ হতে পারে।

কোনও সময়ে চোখে গুরুতর চোট-আঘাত লাগলে, পরবর্তী কালে সেখান থেকেও গ্লুকোমা হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

গ্লুকোমা থেকে একেবারে নিস্তার পাওয়া সম্ভব নয়, তবে যাতে আরও ক্ষতি না হয়, সে ব্যবস্থা করা যায়। সঠিক সময়ে ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে অসুখের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তার জন্য চাই সতর্কতা। তাই সমস্যা থাকলে তো বটেই, না থাকলেও বছরে অন্তত এক বার চোখ পরীক্ষা করানো জরুরি।

 

সূত্র: হেলথ লাইন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন