শ্লীলতাহানির অভিযোগ মামলায় ক্যামেরা ট্রায়ালে সাক্ষ্য দেবেন পরীমণি
হত্যা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জাতীয় পার্টির নেতা ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ক্যামেরা ট্রায়ালে সাক্ষ্য দেবেন চিত্রনায়িকা পরীমণি।
সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকা আদালতে তার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এদিন সাক্ষ্য দিতে এসে পরীমণি ঘটনার বিবরণ দেয়ার সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এসময় পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী বিচারকের খাস কামরায় রুদ্ধদ্বার কক্ষে গোপনে সাক্ষ্য (ক্যামেরা ট্রায়াল) গ্রহণের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
এদিন সকালে আদালতে আসেন পরীমণি। এ সময় মামলার আসামি নাসির উদ্দিন, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম আদালতে হাজিরা দেন।
এর আগে গেলো বছরের ১৯ এপ্রিল নাসির ও অমির পক্ষে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। অন্যদিকে অব্যাহতির আবেদনের বিরোধিতা করেন বাদীপক্ষ। এছাড়া অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর ১৮ মে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
২০২১ সালের ১৪ জুন নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ঢাকার সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন পরীমণি।
তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন। অপর দুই আসামি হলেন-তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম। এরপর গেলো বছরের ১৩ ডিসেম্বর এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে ঢাকার অদূরের বিরুলিয়ার ঢাকা বোট ক্লাবে যান পরিমণি। সেদিন রাতে সেখানে তাকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন পরীমণি। পরে ১৪ জুন নাসির ও অমি ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।