আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ইয়েমেনে সৌদি জোটের বিমান হামলায় নিহত ৭০

ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ সাদায় সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট বিমান হামলা চালিয়েছে। হামলায় এখন পর্যন্ত ৩ শিশুসহ দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এক হুতি কর্মকর্তা ও দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা জানিয়েছে, উত্তর ইয়েমেনের একটি কারাগারে বিমান হামলায় কয়েক ডজন লোক নিহত হয়েছেন। দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সংঘাত গত সোমবার (১৭ জানুয়ারি) আবুধাবিতে হুতিদের ড্রোন হামলার পর নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে হুতিরা উৎখাত করার পর সেই সরকার আবার পুনর্বহাল করতে ২০১৫ সাল থেকে দেশটিতে হামলা চালিয়ে আসছে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত নেতৃত্বাধীন জোট।

হুতিরা গত সোমবার (১৭ জানুয়ারি) আবুধাবিতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনার দায় স্বীকার করলে সংঘাত নতুন মাত্রা পায়। এর ফলেই ইয়েমেনে এই বিমান হামলা চালানো হলো।  

বর্তমানে ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসকগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনও মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে, অন্যদিকে উত্তরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ইয়েমেনে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) মিশনের প্রধান আহমাদ মহত সিএনএনকে জানান, সহকর্মীদের কাছ থেকে তিনি জেনেছেন সাদা নগরীতে বিমান হামলাস্থলে বহু মরদেহ পরে আছে। সেখানে ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলেই তাঁর ধারণা।

তিনি আরও বলেন, সাদা নগরীতে এমএসএফ সহায়তায় পরিচালিত একটি হাসপাতালে এত আহত মানুষ ভর্তি হয়েছে যে সেখানে আর স্থান সংকুলান হচ্ছে না। নগরীর আরও দুটি হাসপাতালেও বহু আহত মানুষ ভর্তি হচ্ছে।

গৃহযুদ্ধ ও সংঘাত চলার ফলে প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এবং একদা স্বচ্ছল এই দেশটি। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ খাদ্য ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের গুরুতর সংকটে ভুগছেন।

উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ত্রাণকর্মীরা সিএনএনকে বলেছেন, ইন্টারনেট বিভ্রাটের কারণে ত্রাণ সংগঠনগুলো বিমান হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে হিমশিম খাচ্ছে।

অনন্যা চৈতী

 

 

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন