সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীর সড়কে গণপরিবহন কম
রাজধানীতে আজ আওয়ামী লীগের তিন অঙ্গসংগঠন ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশ চলছে। সমাবেশ ঘিরে রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল কমেছে। যাত্রীদের সংখ্যাও অন্যদিনের থেকে কম। তবে জরুরি প্রয়োজনে যারা ঘরের বাইরে বের হয়েছেন তারা বাস-সিএনজি সংকটে ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে দুপুরের পর বৃষ্টিতে এ ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
আজ সকাল থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়ক বন্ধ থাকায় অনেককে ভোগান্তিতেও পড়তে হয়েছে। প্রেস ক্লাবেও একই অবস্থা।
দুপুরে রাজধানীর কাজীপাড়া, আগারগাঁও, শ্যামলি, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, শাহবাগ, পল্টন, গুলিস্তান, মহাখালী সড়ক ঘুরেও একই চিত্র দেখা গেছে। অধিকাংশ সড়কে বাস কম। কোনো কোনো সড়কে বাস চললেও যাত্রী নেই। ফার্মগেট মোড়ে অন্যদিনের তুলনায় যানবাহন চলাচল কম।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে নয়াপল্টনে দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বিএনপির মহাসমাবেশ। সকাল থেকেই সমাবেশে দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। বেলা ১১টার মধ্যেই বিএনপি নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে ভরে যায় সমাবেশস্থল। আশপাশের এলাকা মতিঝিল, কাকরাইল, মালিবাগ ছাড়িয়ে পড়ে নেতাকর্মীদের ভিড়। মগবাজার, মালিবাগ, মৎস্য ভবন এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনেও জড়ো হন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ছয়দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চসহ ৩৭টি দলও আজ একই দাবিতে পৃথকভাবে সমাবেশ করছে।
এদিকে, রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম তিন সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের শান্তি সমাবেশ চলছে। এর আগে শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। প্রথমেই ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গান পরিবেশন করা হয়।
সমাবেশ উপলক্ষে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন। জুমার নামাজের পরে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের ঢল নামে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন।