আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

নির্বাচন কমিশন বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপন

পাঁচদিন বিরতির পর আজ রোববার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সংসদের মুলতবি অধিবেশন শুরু হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

আজ জাতীয় সংসদে মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন পাওয়া নির্বাচন কমিশন আইন উপস্থাপন করা হয়েছে। বিলটি উপস্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি যাচাই-বাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে।

এর আগে, গেলো সোমবার (১৭ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।

আইনে বলা হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বয়স ৫০ বছর হতে হবে। সরকারি আধা-সরকারি ও বিচার বিভাগের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সিইসি ও কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। ছয় সদস্যের এই সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে থাকবেন প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ দিতে একটা সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি গঠন করা হবে।

ছয় সদস্যের এই সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে থাকবেন প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি।

এ ছাড়া সদস্য হিসেবে থাকবেন হাইকোর্টের একজন বিচারপতি, মহাহিসাবনিরীক্ষক, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান ও রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুজন বিশিষ্ট ব্যক্তি।

কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটি যোগ্য ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করবে। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেবেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন