আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, সাজানো হয় অপহরণের নাটক

টেকনাফের হ্নীলার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুসুন্নাহ মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপালের রুমে তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মুফতি আলী আহমেদের ছেলে হাফেজ মো. এরফানকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। পরে তার দেখানো জায়গা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

আটকের পর র‍্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছে অভিযুক্ত এরফান। এরফান কুরআনে হাফেজ এবং ওই মাদরাসার ছাত্র।

র‍্যাব-১৫ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সৈয়দ সাদিকুল ইসলাম বলেন, আশুরা উপলক্ষে মাদরাসা বন্ধ থাকার সুবাদে এরফান ওই শিশুকে ফুসলিয়ে মাদরাসায় নিয়ে যায়। এরপর মুখে কসটেপ পেঁচিয়ে হাত-পা বেঁধে রাতভর ধর্ষণ করে। পরে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। এরপর রাত তিনটার সময় মরদেহটি মাদরাসার পাশে একটি ডোবায় ফেলে দেয়। এরপর ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য অপহরণের নাটক সাজাতে ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এরফান।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত এরফানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সে একাই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তবে অন্যকেউ জড়িত আছে কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে শতবছরের ঐতিহ্যবাহী মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপালের কক্ষে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এরফানের একার পক্ষে ধর্ষণের পর মরদেহ সরানো সম্ভব নয় দাবি করে ঘটনার নেপথ্যের কারিগরদের বের করার দাবি জানিয়েছেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী।

ঘটনার দিন রাতে মাদরাসার নৈশপ্রহরীর দায়িত্বে ছিলেন মো. ইব্রাহিম। মাদরাসা বন্ধের সময়ে ভাইস প্রিন্সিপালের কক্ষে সারারাত জুড়ে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটলেও তিনি কিছুই দেখেননি বলে দাবি করেন।

টেকনাফ থানার ওসি মো. জুবায়ের জানান, নিহত ওই শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কেএস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন