আর্কাইভ থেকে জাতীয়

স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তরুণরাই হবে দক্ষ জনশক্তি : প্রধানমন্ত্রী

বিএনপির ভুল নীতি তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশকে পিছিয়ে দেয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশ এগিয়ে যেতে থাকে। বিরোধীরা একসময় সমালোচনা করলেও ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা। নতুন উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তরুণরাই হবে, সবচে’ দক্ষ জনশক্তি। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট ২০২৩-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার চালাতে গেলে নানা ধরনের সমালোচনা শুনতে হয়। লক্ষ্য স্থির ও আত্মবিশ্বাস থাকলে সব বাধা টপকে সাফল্য আনা যায়। ২০০৮ এর নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম বাংলাদেশ হবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। অনেক ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ শুনতে হয়েছে সে সময়। অনেক কথা শুনতে হয়েছে এবং বলেছে- এটি আবার কে ব্যবহার করবে। ডিজিটাল আবার কী, এটি কী।

সরকারপ্রধান বলেন, সেই অপমান সেই ব্যঙ্গ শুনেও আজকে কিন্তু বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ আমরা করেছি। অবশ্য রাজনীতি করতে গেলে সরকার চালাতে গেলে সমালোচনা শুনতেই হবে, সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমার লক্ষ্যটা যদি স্থির থাকে, আর যদি আত্মবিশ্বাস থাকে যে এটা আমাকে করতে হবে তাহলে কোনো বাধাই বাধা না, কোন ব্যঙ্গই ব্যঙ্গ না। ব্যঙ্গই সাফল্য এনে দেয়, এটি আমরা প্রমাণ করেছি।

স্টার্টআপরাই দায়িত্ব নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এমন মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি মনে করি স্টার্টআপে যারা সফল তারাই অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে চাকরির পেছনে না ঘুরে যুব সমাজকে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রামে বসেও কাজ করছে। আমরা শুরু করেছিলাম ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’। এ কর্মসূচি মানুষের জন্য নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে। গ্রামে বসে মানুষ বিদেশে অর্থ উপার্জন করতে পারে।

স্টার্টআপ প্রোগ্রাম নিয়ে গ্রামে যেতে হবে- এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামের ছেলে-মেয়েদের শেখাতে হবে। তারা অনেক বেশি মেধাবী। তাদের একটু সুযোগ করে দিতে হবে। সুযোগ পেলে তারাই এগিয়ে আসবে, তারা যেন উদ্যোক্তা হতে পারে।

তিনি বলেন, আমাদের যুব সমাজ কোনোমতে বিএ পাস করেই বলবে চাকরি দাও, চাকরি দাও। তারা চাকরির পেছনে ঘুরবে কেন? নিজেই উদ্যোক্তা হবে। নিজেরাই এখানে কাজ করবে এবং তারাই চাকরি অন্য মানুষকে দেবে। নিজের থেকে নিজে করবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা কোম্পানি আইনটা পরিবর্তন করে দিয়েছি, যেন এক ব্যক্তির কোম্পানি করতে পারে। সে ব্যবস্থাটাও করে দিয়েছি। সব রকমের সুযোগ আমরা সৃষ্টি করে দিয়েছি, যেন আমাদের যে কোন একজন উদ্যোক্তা নিজেই দাঁড়াতে পারে। নিজেই একটা কোম্পানি করবে, ব্যবসা করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই আমাদের ছেলেমেয়েরা নিজের পায়ে দাঁড়াবে। নিজের মাস্টার নিজে হবে। কারও অধীনে কাজ করবে না। সেভাবেই কাজ করতে হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন প্রমুখ।

স্টার্টআপ সামিটে বিভিন্ন দেশের স্টার্টআপ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট, অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর, রেগুলেটর ও বিশেষজ্ঞরা এই সামিটে অংশ নিচ্ছেন। অংশগ্রহণকারীরা স্থানীয় এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি তাদের উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক পরিকল্পনা উপস্থাপনের সুযোগ পাবেন।

সামিটে ব্যবসায়িক পরিস্থিতি এবং বিশ্বব্যাপী ব্যবসার সুযোগ নিয়ে সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন