আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার পথে ৭ বাংলাদেশির মৃত্যু

অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে শরীরের তাপমাত্রা কমে ভূমধ্যসাগরে নৌকায় ৭ বাংলাদেশি মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ইতালির অ্যাগ্রিজেনটো শহরের প্রসিকিউটর লুইগি প্যাট্রোনাজ্জিও এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের। 

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়র্টাসের জানিয়েছে, দুই থেকে তিন দিন আগে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে নৌকাটি ইতালি উপকূলের দিকে রওনা দেয়। এটি ল্যাম্পেদুসা দ্বীপে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল। শরীরের তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে যাত্রাপথেই তিন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়। সোমবার রাতে নৌকাটিকে ল্যাম্পেদুসার দক্ষিণে ২৪ নটিক্যাল মাইল দূরে কোস্টগার্ড আটক করে। ল্যাম্পেদুসা বন্দরে ঢোকার আগে শরীরের তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে আরও চার জনের মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া সাতজনই বাংলাদেশের নাগরিক। 

তিনি জানান, জনবসতিহীন দ্বীপ ল্যাম্পিওনের উপকূল থেকে প্রায় ২৯ কিলোমিটার দূরে ল্যাম্পেডুসার কাছে সারা রাত নৌকাটিকে ভাসতে দেখেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা। এরপর তারা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

ল্যাম্পেডুসার মেয়র সালভাতোর মার্টেলো মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে বলেন, নৌকাটিতে ২৮০ জন অভিবাসী ছিল। যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশ ও মিসরের নাগরিক।

জানা গেছে, হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে ইউরোপে প্রবেশের জন্য ইতালি হচ্ছে প্রধান রুট। আফ্রিকার দেশ লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে তারা ইতালির বিভ্ন্নি দ্বীপে প্রবেশের চেষ্টা করেন।

গত কয়েক মাস ধরে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইউরোপ যাওয়ার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এ বিপজ্জনক পথে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।

ইতালি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এক হাজার ৭৫১ জন অভিবাসী নৌকার মাধ্যমে ইতালির বিভিন্ন বন্দরে পৌঁছেছেন।

 

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন