আর্কাইভ থেকে বিএনপি

‘গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে’

সরকার পতনের একদফা দাবি আদায় করেই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। বলেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (১২ আগস্ট) আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি মহানচিব বলেন, বেগম জিয়াকে অবিলম্বে দেশের বাইরে চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে মেডিকেল বোর্ড। সারাদেশের মানুষ তার মুক্তির দাবিতে সোচ্চার।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় এখন হাসপাতালে ভর্তি। তারেক রহমনা ও তার স্ত্রীকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। মূলত, একটি মহল জিয়া পরিবারটিকে নির্মূল করার চেষ্টা করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশের মানুষ সোচ্চার হয়েছে। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিন, সুচিকিৎসার জন্য বাইরে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় বিএনপির এক দফা দাবি আদায় করেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতিচারণ করে ফখরুল বলেন, কোকো অরাজনৈতিক ব্যক্তি হয়েও ওয়ান-ইলেভেনের সময় তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। পরবর্তীতে বিদেশ গেলে সেখানেও তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। যার ফলে তিনি প্রায় বিনাচিকিৎসায় মারা যান।

এ সময় একটি কুচক্রী মহল দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে নির্মূলের চক্রান্ত করে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব।

১৯৬৯ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন আরাফাত রহমান কোকো। ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জরুরি অবস্থার সময় করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে এক বছর কারাগারে ছিলেন তিনি। এরপর ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান। সেখান থেকে পাড়ি জমান মালয়েশিয়ায়।

এরপর ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। ওই বছরের ২৮ জানুয়ারি আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ দেশে আনা হয়। সেদিনই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন